Wednesday, February 5, 2025
Latest Newsফিচার নিউজরাজ্য

সুন্দরবনের মহিলাদের পাশে দাঁড়াল নব দিগন্ত, সঙ্গে সমাজসেবী তুহিনা চ্যাটার্জি ও তার টিম

নিজস্ব সংবাদদাতা, দৈনিক সমাচার, গোসাবা : আমফান বিধ্বস্ত সুন্দরবনের অসহায় মহিলাদের পাশে দাঁড়াল স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। প্রত্যন্ত সুন্দরবনের অসহায় মহিলাদের আত্মনির্ভরতার লক্ষ্যে এগিয়ে এল ‛নব দিগন্ত’। সেইসাথে তাদের পাশে দাঁড়ালেন বিশিষ্ট সমাজসেবী তুহিনা চ্যাটার্জি ও তার টিম। নব দিগন্ত-এর প্রতিষ্ঠাতা ও সম্পাদক ডাঃ ফারুক হোসেন গাজী ও প্রবাসী বাঙালি বিশিষ্ট সমাজসেবী তুহিনা চ্যাটার্জি ও তার টিম এর যৌথ প্রচেষ্টায় সুন্দরবনের অসহায় মহিলাদের জন্য শুরু হল একটি নতুন প্রকল্প।

প্রকল্পটির নাম দেয়া হয়েছে‌ ‛ওমেন এম্পাওয়ারমেন্ট প্রজেক্ট’। এই প্রকল্পের মাধ্যমে মহিলাদের আত্মনির্ভরতার লক্ষ্যে দেওয়া হয় একটি করে সেলাই মেশিন, ১৫টি শাড়ি, ১৫ টি লুঙ্গি সহ ১৫ টি গামছাও। যেগুলো বিক্রি করে অসহায় মহিলারা রোজগার করতে পারবেন। আর সেই রোজগার দিয়েই চলবে তাদের আর পাঁচটা মেয়েদের মতই প্রতিদিনের জীবন। রবিবার মূলত পাঁচজন মহিলাকে এই সুবিধার আওতায় এনে এই প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক সূচনা করেন ডাক্তার ফারুক। আগামীতে এভাবেই প্রজেক্টের কাজ চলতে থাকবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

এদিন ডাঃ ফারুক হোসেন গাজী এই প্রকল্পের উদ্বোধন করে বলেন, ‛সুন্দরবন এলাকার অসহায় মহিলারা বিশেষ করে যারা বিধবা, যাদের স্বামী কাজ করতে পারেন না, বিভিন্ন অসুখে ভুগছেন কিংবা প্রতিবন্ধী তাদের স্বনির্ভর করাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য। আমরা চাই সুন্দরবনের অসহায় মহিলারা কারও মুখাপেক্ষী না হয়ে আত্মনির্ভর হয়ে উঠুক। আর এই যুদ্ধে সমাজসেবী তুহিনা দিদিকে পাশে পেয়ে কাজটা অনেক সহজ হয়েছে।’

ডাঃ ফারুক আরও জানিয়েছেন, নব দিগন্ত ২০১৪ সাল থেকে মানব সেবায় নিয়োজিত। অনেকদিন থেকেই ভাবছি অসহায় মহিলাদের কিভাবে আত্মনির্ভর করা যায়। আর এই ভাবনাতে সাথী হিসেবে পেয়েছি প্রবাসী বাঙালি তুহিনা চ্যাটার্জি ও তার টিমকে। যিনি ভিন রাজ্য মুম্বাইয়ে থেকেও ভোলেননি বাংলার অসহায় মহিলাদের কথা বিশেষ করে সুন্দরবনের মহিলাদের কথা।

উল্লেখ্য, তুহিনা চ্যাটার্জী আমফান সাইক্লোনের পরবর্তী সময়ে সুন্দরবনের প্রান্তিক এলাকায় পুনর্নির্মাণ ও নতুন করে বাসস্থান নির্মাণ করে চলেছেন। তিনি ও তার টিম নব দিগন্ত এর মাধ্যমে প্রায় ৬০ টি ভাঙা ঘরের বেড়া ঠিক করে দিয়েছেন। ১০০ টি বাড়িতে ত্রিপল দিয়েছেন। বহু পরিবারের হাতে খাদ্য সামগ্রী তুলে দিয়েছেন, কিছু ভাঙা বাড়ি নতুন করে তৈরি করে দেওয়া হচ্ছে। কিছু গ্রামকে মডেল ভিলেজ করে গড়ে তোলা ও কমিউনিটির জন্যে স্যানিটারি টয়লেট গড়ে তোলাও তাঁর ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে বলে জানিয়েছেন ডাঃ ফারুক।

স্কুল পড়ুয়াদের জন্যেও বহু সুযোগ সুবিধার কথা মাথায় রেখেছেন আল-আমিন এর এই বিশিষ্ট প্রাক্তনী। এছাড়াও মাছ চাষের পদ্ধতি, মাসরুম চাষ ইত্যাদি শেখানোর পাশাপাশি আমফান ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত গাছের পরিবর্তে নতুন করে বৃক্ষ রোপন করারও পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন তিনি। আর সেই সব চিন্তাভাবনা গুলি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছেন বিশিষ্ট সমাজসেবী তথা প্রবাসী বাঙালি তুহিনা চ্যাটার্জী ও তার সহযোগী ডাঃ ফারুক হোসেন গাজী।

 

আরও খবরাখবর পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রূপে

Leave a Reply

error: Content is protected !!