দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক: শনিবার মরসুমের শীতলতম রাত অনুভূত হয়েছে কাশ্মীরের শ্রীনগরে। তুমুল হাড়ফাটা ঠান্ডা এবং বরফ বর্ষণে হাড়হিম করা পরিস্থিতি দ্রাসে। তাপমাত্রা মাইনাস ২৯ ডিগ্রি। শৈত্যপ্রবাহে কাঁপছে গুলমার্গ থেকে পেহেলগাঁও। যদিও সর্বনিম্নের রেকর্ড স্পর্শ করতে পারেনি এদিনের শীত। তবে প্রতিদিনই তাপমাত্রা যেভাবে নামছে, সেভাবে চলতে থাকলে ২০১৮ সালের রেকর্ড ভাঙা যে শুধু সময়ের অপেক্ষা, মনে করছে আবহাওয়া বিশারদরা।
শনিবার মরসুমের শীতলতম রাত অনুভূত হয়েছে কাশ্মীরের শ্রীনগরে। তাপমাত্রা মাইনস ৬.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে গিয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। পাল্লা দিয়ে চলা তুষারপাতে বাড়ি থেকে বেরোনো মুশকিল হয়ে পড়ছে মানুষের। জম্মু, কাটরা, বানিহালে পারদ যথাক্রমে ৩.৩, ৪.৯ ও ৩.২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে গিয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
শ্রীনগরের পাশাপাশি কাশ্মীরের গুলমার্গ এবং পহেলগাঁও-তে অবিরাম তুষারপাতে স্বাভাবিক জনজীবন কার্যত কার্যত স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে। শনিবার রাতে গুলমার্গে তাপমাত্রা নেমে মাইনাস ৯.২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে এসে দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে পহেলগাঁও-তে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৯.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
শ্রীনগর থেকে অনেকটাই ওপরে লাদাখের দ্রাস সেক্টরে তাপমাত্রার পারদ মাইনাস ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে গিয়েছে। যা মরসুমের সর্বনিম্ন। অন্যদিকে লেহ এবং কার্গিলের তাপমাত্রা নেমে যথাক্রমে ১৮.৩ এবং ২১.১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে এসে দাঁড়িয়েছে। সাদা বরফে ঢাকা পড়েছে সব এলাকা। ২০১৮ সালে পারদ পতনে রেকর্ড গড়েছিল শ্রীনগর। ২৫ ডিসেম্বর ওই এলাকার তপমাত্রা ছিল মাইনাস ৭.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।