দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক: তাঁর বহু বিতর্কিত ও স্মরণীয় বক্তব্য রয়েছে। তাঁর মধ্যে ‘নগরের নটি–রা টাকা নিয়ে কেলি করেছে’ মন্তব্য রাজ্য– রাজনীতিতে ঝড় বইয়ে দিয়েছিল। এমনকী তাঁর নামে একগুচ্ছ অভিযোগ জমা পড়তেই দিল্লিতে তাঁকে তলব করা হয়েছিল। এইসব হলেও তাঁকে কেউ দমাতে পারেননি। হ্যাঁ, তিনি প্রাক্তন মেঘালয়ের রাজ্যপাল তথা বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা তথাগত রায়। এবার আবার তিনি বোমা ফাটিয়েছেন। ফের দিলীপ ঘোষ–সহ রাজ্যের চার বড় নেতাকে নিয়ে প্রকাশ্যে ক্ষোভ উগরে দিলেন তথাগত রায়। এই নিয়ে দ্বিতীয়বার তিনি চারমূর্তির নাম নিলেন। এবারে তথাগতর দাবি, তিনি জনৈক ব্যক্তির থেকে শুনেছেন, বহু বিজেপি কর্মী এখন বিপদের মধ্যে রয়েছেন। অথচ কৈলাস বিজয়বর্গীয়, শিবপ্রকাশ, অরবিন্দ মেনন বা দিলীপ ঘোষরা কার্যত বেপাত্তা। এই মন্তব্যে এখন তোলপাড় রাজ্য–রাজনীতি।
এখন বিজেপির কাছে বাংলায় সংগঠন টিকিয়ে রাখাই চ্যালেঞ্জের। রোজ দল ছাড়ার হিড়িক পড়ছে। বিরোধী দলনেতা পাত্তা পাচ্ছেন না। ঘরছাড়াদের ঘরে ফেরানো যাচ্ছে না। সেখানে একের পর এক বোমা নিক্ষেপ করে চলেছেন তথাগত। আর তাতে বিড়ম্বনা বাড়ছে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের। ঠিক কী লিখেছেন তথাগত? তিনি ট্যুইটারে লিখেছেন, ‘এক ঘনিষ্ঠজন এসে আমার কাছে কান্নাকাটি জুড়ে দিয়েছিলেন। তিনি বলেন, কয়েক হাজার বিজেপি কর্মীকে তৃণমূল কংগ্রেসের দুষ্কৃতীরা ঘরছাড়া করেছে। এখন ঘরে ফিরতে তাদের মোটা অঙ্কের টাকা গুনতে হবে। আমার রীতিমতো অসহায় লাগছে।’ এই পর্যন্ত সব ঠিকই ছিল। তারপরেই তথাগতের তোপ, ‘রাজ্য বিজেপির নেতা কে–এস–এ (কৈলাস–শিবপ্রকাশ–অরবিন্দ মেনন) হাওয়া হয়ে গিয়েছেন। আর ফোন ধরছেন না ডি (দিলীপ ঘোষ)।’ ব্যস, এই মন্তব্য করার সঙ্গে সঙ্গে তা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে পড়েছে এবং অস্বতিতে আবার রাজ্য বিজেপি।
কে–এস–এ–ডি অদ্যক্ষর কোড তিনি অতীতেও ব্যবহার করেছেন। এখন প্রশ্ন উঠছে, প্রকাশ্যে বারবার কেন তাঁদের কাঠগড়ায় তুলছেন তিনি? তথাগত কি বোঝাতে চাইছেন যে গোটা বিজেপি দলটাই নেতৃত্ব হীনতায় ভুগছে? তাহলে দিল্লিতে নিয়ে গিয়ে দাওয়াই দিয়ে কোন লাভ হয়েছে? নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পর তিনি ট্যুইটারে লিখেছিলেন, দিলীপ–কৈলাসরা প্রধানমন্ত্রী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সম্মান ধুলোয় মিশিয়েছেন। সেবারও তিনি এই চারজনের নাম উল্লেখ করেছিলেন। এমনকী হেস্টিংসের শীর্ষে এবং সাততারা হোটেলে বসে তাঁরা তৃণমূল কংগ্রেসের আবর্জনাদের টিকিট বাঁটোয়ারা করেছেন। এখন দলীয় কর্মীদের থেকে বাঁচতে তারা সেখানেই বসে আছেন, ভাবছেন এই ঝড় চলে যাবে বলে মন্তব্য করেছিলেন।