নিজস্ব সংবাদদাতা, দৈনিক সমাচার, তমলুক : শিক্ষাসংক্রান্ত একাধিক দাবি নিয়ে তমলুকে জেলা শাসক দপ্তর অভিযান করল ছাত্র সংগঠন এসআইও পূর্ব মেদিনীপুর জেলা শাখা। উক্ত অভিযানে সংগঠনের জেলা সভাপতি আজম হোসেন বলেন, “আমাদের জেলা শিক্ষা, বেকারত্বসহ একাধিক সমস্যায় জর্জরিত। জেলার গ্রামীণ এলাকায় স্কুলছুট পড়ুয়াদের সংখ্যা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে।” তিনি সরকারের কাছে স্কুলছুটদের জন্য বিশেষ স্কিম ঘোষণার দাবি জানান।
তিনি আরও বলেন, “জেলায় গার্লস কলেজের ঘাটতি রয়েছে। প্রতিটি সংসদীয় এলাকায় একটি মেডিক্যাল কলেজ প্রতিষ্ঠাতা করতে হবে।” জেলার শিক্ষাঙ্গন সম্পাদক পারভেজ আলাম খাঁন বলেন, “জেলার একমাত্র মহাত্মা গান্ধী বিশ্ববিদ্যালয়ের পঠন-পাঠন, পরিকাঠামোগত গঠন মানোন্নয়ন করতে হবে।” এছাড়াও তিনি জেলার কলেজগুলোর কাছে ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য পৃথক হোস্টেল তৈরির দাবি জানান।
এদিন জেলার কাঁথি, সুতাহাটা, কোলাঘাট, তমলুক সহ বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত শতশত ছাত্রজনতার বিশাল বিক্ষোভ মিছিলে রাজ্য সভাপতি সাবির আহমেদ বলেন, “একদিকে স্কুলগুলো যোগ্য শিক্ষকের অভাবে ভুগছে, অন্যদিকে কলকাতার রাজপথে চাকরি প্রার্থীরা নিয়োগের দাবিতে অনশন করতে বাধ্য হচ্ছে।” তিনি আরও বলেন, “উৎসশ্রী প্রকল্পের মাধ্যমে শিক্ষক বদলির জন্য গ্রামের স্কুলগুলোতে ব্যাপক শূন্যপদ তৈরি হয়েছে।” তিনি শিক্ষাঙ্গনে বৈষম্য বন্ধের দাবি জানিয়ে বলেন “শিক্ষাঙ্গনে ধর্মীয় বৈষম্য প্রকট হয়ে উঠেছে। হিজাব পরার জন্য নার্সিং পড়ুয়ারা মানসিক নির্যাতনের স্বীকার হচ্ছে।” তিনি আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক পরিকাঠামোর ভগ্নপ্রায় দশার জন্য সংখ্যালঘু দপ্তরের সমালোচনা করেন। এছাড়াও জেলা কমিটির সদস্য সাজিদ ইমরান, প্রাক্তন জেলা সম্পাদক মির্জা রুহুল কুদ্দুস বেগ জেলার দাবি গুলোর বাস্তবায়নে জোরালো দাবি জানান।
উল্লেখ্য যে, এই চলমান শিক্ষা আন্দোলনের অংশ হিসেবে জেলার ৮দফা দাবি নিয়ে বুধবার ১৭ই আগস্ট ছাত্রজনতার মহামিছিল সহিত জেলা শাসককে ডেপুটেশন প্রদান করা হয়। অবশেষে এদিনের কর্মসূচিতে উপস্থিত থেকে আগত ছাত্র যুবকদের শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেন জামাআতে ইসলামী হিন্দ পূর্ব মেদিনীপুর জেলার জেলা সভাপতি ডাঃ রমজান আলী। জেলা সম্পাদক সেক সামাউল আলির ধন্যবাদান্তে কর্মসূচির সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।