দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক : উত্তরপ্রদেশের হাথরসে তরুণীর গণধর্ষণ ও হত্যার ঘটনা সম্পর্কে খবর সংগ্রহ করতে যাওয়ার পথে গ্রেফতার হয়েছিলেন কেরলের সাংবাদিক সিদ্দিক কাপ্পান। পরে তাঁর বিরুদ্ধে সন্ত্রাস-বিরোধী ইউএপিএ আইনে মামলা করা হয়। সোমবার সুপ্রিমকোর্টে শুনানি ছিল সিদ্দিক কাপ্পানের জামিনের আর্জির।
সুপ্রিমকোর্টে দায়ের করা আর্জিতে কাপ্পানের জামিনের আবেদনের পাশাপাশি তাঁর গ্রেফতারিকে চ্যালেঞ্জ করেছে কেরলের সাংবাদিক সংগঠন। এদিন প্রধান বিচারপতি জানান, এই মামলায় উত্তরপ্রদেশ সরকারকে নোটিশ জারি করা হবে। তবে মামলাটিকে হাইকোর্টে পাঠানো হতে পারে। শুক্রবার ফের এই মামলার শুনানি হতে পারে।
কাপ্পানের আইনজীবী কপিল সিব্বল জানান, এফআইআরে তাঁর মক্কেলের নাম নেই। তাঁর বিরুদ্ধে কোনও নির্দিষ্ট অভিযোগও নেই। ৫ অক্টোবর থেকে তিনি জেলে রয়েছেন। তাই সংবিধানের ৩২ নম্বর অনুচ্ছেদে বর্ণিত মৌলিক অধিকার লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য ক্ষমতা ব্যবহার করে এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করা উচিত সুপ্রিমকোর্টের। কিন্তু প্রধান বিচারপতি এস এ বোবডের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ প্রশ্ন তোলে, আবেদনকারীরা প্রথমে এলাহাবাদ হাইকোর্টে যাননি কেন?