দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক: ২০২১ সালে বাংলার সঙ্গে অসমেও হবে বিধানসভা নির্বাচন। আর তা নিয়ে অসমেও শুরু হয়েছে বিভিন্ন দলের মধ্যে বাগযুদ্ধ। বিজেপি সরকার মুসলিম-বিরোধী, এবার এমনটাই অভিযোগ করলেন অল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট (এআইইউডিএফ) বিধায়ক রফিকুল ইসলাম।
কিছুদিন আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছিলেন, অসমের দুই প্রধান সমস্যা, অনুপ্রবেশ এবং বন্যার মোকাবিলা করতে বিজেপিরই সরকারে থাকা দরকার। বর্তমানে ওই রাজ্যে বিজেপিই সরকারে আছে। তার প্রেক্ষিতে রফিকুল ইসলামের অভিযোগ, রাজ্যের বিজেপি-শাসিত সরকার মুসলিম-বিরোধী এবং অহমিয়া জনগণের বিরোধী।
প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ‘জাতি, মাটি এবং ভিটের’ সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ বিজেপি সরকার, অভিযোগ রফিকুলের। তা ছাড়া, অসমের জনগণ নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রবল বিরোধিতা করা সত্ত্বেও বাংলাদেশের ‘অবৈধ’ হিন্দু জনগণকে অসমে ঢোকাতে চাইছে সরকার। এআইইউডিএফ বিধায়ক বললেন, ‘এ রাজ্যে বিভিন্ন জনজাতির মানুষ বাস করেন যাঁরা বহুবার তাঁদের দাবি তোলা সত্ত্বেও তাতে কান দেওয়া হয়নি। সিএএ-র বিরোধিতা করা সত্ত্বেও বিজেপির মন্ত্রী হেমন্ত বিশ্ব শর্মা ৮-১২ লক্ষ বাংলাদেশি হিন্দুকে নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলেছেন।’
রফিকুলের প্রশ্ন, অসম ছোট রাজ্য হলেও তাতে তিন কোটি মানুষের বাস। এর ওপর আরও ১২ লক্ষ লোকের বোঝা কেন নেওয়া হবে। তিনি এও বলছেন, বাংলাদেশ থেকে হিন্দুদের ঢোকানো হলে অহমিয়া সংস্কৃতি বিপন্ন হবে। তাই বিজেপির সরকার শুধু মুসলিম-বিরোধী নয়, অহমিয়া জনগণ-বিরোধীও।