দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক: কৃষি আইনের প্রতিবাদে এখনও অনড় বিক্ষোভকারী কৃষকরা। এই পরিপ্রেক্ষিতে পরিস্থিতি সামাল দিতে নাজেহাল কেন্দ্র। বিগত কয়েক মাস ধরে কৃষকদের অনড় মনোভাবের সামনে কেন্দ্রের যুক্তি ধোপে টেকেনি। মাঝে আলোচনাও থমকে গিয়েছে। তবে আইন প্রত্যাহারের দাবিতে আন্দোলন জারি রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আন্দোলনকারীদের আক্রমণ শানাতে গিয়ে বিতর্ক তৈরি করলেন বিজেপি নেত্রী মীনাক্ষী লেখি। তিনি বলেন, ‘এঁরা কৃষক নন, এঁরা গুন্ডা। ২৬ জানুয়ারি লজ্জাজনক ও অপরাধমূলক কাজ করছেন তাঁরা। বিরোধীরা এই কাজে ইন্ধন জুগিয়েছিল।’
বিজেপি নেত্রীর এই মন্তব্য ঘিরে জোর বিতর্ক শুরু হয় রৈজনাতিক মহলে। কৃষক সংগঠনগুলিও এই বিষয়ে সরব হয়। এরপরই বিজেপি নেত্রী দাবি করেন যে তাঁর মন্তব্যকে ঘুরিয়ে তুলে ধরা হয়েছে। তবে কেউ যদি তাঁর মন্তব্যে আহত হন, তাঁর জন্যে দুঃখ প্রকাশ করে সেই মন্তব্য প্রত্যাহার করার কথা জানান। এর আগে এক সংবাদ সম্মেলনে মীনাক্ষী বলেছিলেন, ‘জন্তর মন্তরে বসার সময় নেই কৃষকদের। তাঁরা মাঠে কাজ করছেন। এই বিক্ষোভের নেপথ্যে দালালরা রয়েছে। তারা কৃষকদের লাভ দেখতে চায় না।’
এদিকে গুন্ডা মন্তব্যের প্রেক্ষিতে পরবর্তীতে মীনাক্ষী দাবি করেন, ২৬ জানুয়ারি নিয়ে করা একটি নির্দিষ্ট প্রশ্নের প্রেক্ষিতে তিনি এই মন্তব্য করেছিলেন। তাঁর মন্তব্য ঘুরিয়ে ধরে উপস্থাপন করা হয়েছে। যদিও তাতে বিতর্ক থামেনি। পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং এই মন্তব্যের নিন্দা করে বলেন, ‘সরকার সবক্ষেত্রে কণ্ঠরোধের চেষ্টা করছে, তবুও কৃষকদের মনোবল ভাঙতে পারেনি।’
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ২৬ অক্টোবর থেকে দিল্লি, হরিয়ানা, পঞ্জাব সহ উত্তর ভারত তথা দেশের প্রতিটি প্রান্তে, কেন্দ্রের নয়া কৃষি আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ আন্দোলন শুরু হয়েছে। যাকে ঘিরে এ বছর 26 জানুয়ারি সাধারণতন্ত্র দিবসে কৃষকদের ট্র্যাক্টর ব়্যালিকে ঘিরে অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছিল রাজধানী দিল্লি। জাতীয় রাজধানীতে প্রবেশের অন্যতম পথ সিংঘু সীমানায় কৃষকরা অবস্থান বিক্ষোভে বসেছেন গত অক্টোবর থেকে।