দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক: রাজ্যজুড়ে মানা হচ্ছে বিধিনিষেধ। ১৫ জুলাই অবধি রাজ্যজুড়ে বিধিনিষেধ জারি রেখেছে রাজ্য সরকার। করোনা থেকে রেহাই পেতেই রাজ্যজুড়ে বিধিনিষেধ জারি রাখা হয়েছে, দাবি মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির। এহেন পরিস্থিতিতে করোনাকালে লকডাউন ভেঙে কলকাতা পুরসভা ঘেরাওয়ের পরিকল্পনা করছে বিজেপি। আগামীকাল অর্থাৎ সোমবার কলকাতা পুরসভা ঘেরাওয়ের কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে বিজেপির পক্ষ থেকে।
ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডের প্রতিবাদে রাস্তায় নামছে বিজেপি। লোকাল ট্রেন বন্ধ তাই জেলা থেকে কর্মী-সমর্থক আনা হচ্ছে না। দলের উত্তর কলকাতা, দক্ষিণ কলকাতা জেলা সংগঠনের উপর ভর করেই পুরসভা ঘেরাওয়ের কর্মসূচি ঠিক করা হয়েছে। পুরসভা ঘেরাও কর্মসূচি নিয়ে দলের উত্তর কলকাতা জেলা নেতৃত্ব এবং দক্ষিণ কলকাতা জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে একপ্রস্থ আলোচনাও সেরে নিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সম্পাদক সায়ন্তন বসু। দলের যুব মোর্চা এবং মহিলা মোর্চার নেতৃত্বের সঙ্গেও আলোচনা করেছেন সায়ন্তন বসু। পুরসভা ঘেরাওয়ের কর্মসূচিতে দেলর যুব মোর্চা এবং মহিলা মোর্চার সদস্যরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলেই জানাচ্ছে বিজেপি নেতৃত্ব।
কার্যত নিয়ম ভেঙে প্রশাসনের অনুমতি না নিয়েই কলকাতা পুরসভা ঘেরাও অভিযানে নামছে বিজেপি। করোনা কালে বড় রাজনৈতিক বিক্ষোভ কর্মসূচির অনুমতি নেই রাজ্য। তাই নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েই গোপনে কলকাতা পুরসভা ঘেরাও কর্মসূচি সফল করতে চায় বিজেপি। গোপনে কীভাবে করা হবে পুরসভা ঘেরাও তার রোডম্যাপও তৈরি বিজেপি নেতৃত্বের। কালকের অভিযানে মূলত মহিলাদের রাখা হবে সামনের সারিতে। তাতে পুলিশি বাধা কিছুটা হলেও কম হতে পারে। তবে কোন পথে হবে এই অভিযান তা আপাতত গোপন রাখছে বিজেপির রাজ্য নেতারা। দলের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকজন নেতাকে জানিয়ে রাখা হয়েছে রোডম্যাপ। সেইমতোই নেওয়া হবে কালকের কর্মসূচি।
কলকাতা পুরসভার ভোটকে পাখির চোখ করেছে বিজেপি। তাই পুরসভা অভিযানের মধ্য দিয়েই পুরভোটের প্রস্তুতি শুরু করে দিতে চাইছে বিজেপি নেতৃত্ব। ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডে তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীরা জড়িত বলেই অভিযোগ তুলছে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডে তাই সিবিআই তদন্ত হোক। তবেই ধরা পড়বে তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীরা।