দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক: নিজেরা ডাকাতদের ঠাকুর্দা আবার সবাইকে চোর বলছে, শুক্রবার মোদী সরকারকে আক্রমন শানিয়ে এমনটাই বললেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নাম না করে শুভেন্দুকে আক্রমণ করেন তৃণমূল সুপ্রিমো। বলেন, ‘সব খবর আছে, আমি বারবার বলেছি গুন্ডা এনে ভোট করাবে। কাল হাতেনাতে প্রমাণ মিলেছে। কাঁথি বাসস্ট্যান্ড থেকে রাত এগারোটার সময় উত্তরপ্রদেশের ৩০ জন গুণ্ডা অস্ত্র হাতে ধরা পড়েছে। বুঝতে পারছেন আপনারা, কী করার ষড়যন্ত্র করছে এঁরা, মীরজাফররা? এদের জবাব দেবেন। কাঁথিতে গুন্ডা ঢুকিয়েছে, নন্দীগ্রামে ঢুকিয়েছে।’
বহিরাগত গুন্ডা নিয়ে বার বার সতর্কবার্তা নেত্রীর মুখে। তিনি বলেন,’বেশি কিছু করলে ঠাস ঠাস করে থাপ্পড় দেবেন। আমি ভুল করলে আমাকে দু’টো দেবেন। ওদের চারটে দেবেন।’ প্রতিদিনের মতো এদিনও সভামঞ্চ থেকে ভোট চুরি নিয়েও সতর্ক করেন তিনি। ইভিএম খারাপ হলে তৎক্ষণাৎ বাড়ি চলে না গিয়ে চেক করে দেখার কথাও বলেন তিনি। এদিন নাম না করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকেও আক্রমণ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন,’দাড়ি থাকলেই সবাই রবীন্দ্রনাথ হয় না। সবাইকে চোর বলেন, নিজেরা ডাকাতদের ঠাকুর্দা।’
নিজের কেন্দ্র নন্দীগ্রাম থেকে ভোট না হওয়া অবধি নড়বেন না তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন সভা থেকে স্পষ্ট করে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২৮ মার্চ থেকেই নন্দীগ্রামে থাকবেন নেত্রী। পয়লা এপ্রিল নন্দীগ্রাম ভোট হওয়ার পরই তিনি কেন্দ্র ছাড়বেন বলে জানান।
এর আগে পশ্চিম মেদিনীপুরের তিনটি সভায় নেত্রী মমতা বলেন, ‘ভোট লুঠ করার জন্য বাইরের থেকে গুন্ডাদের নিয়ে এসেছে। বাংলার সব হোটেল বুক করেছে। কত হেলিকপ্টার হাজার হাজার বহিরাগত নেতা! কলকাতার কফিহাউসে গুন্ডা রয়েছে। বিজেপি দাঙ্গাকারী, দুর্যোধন, দুঃশাসনের দল। এই দলকে একটি ভোটও দেবেন না। বিজেপি বড় বড় কথা বলে, বলে পরিবর্তন করব। আরে ওটা তো আমাদের স্লোগান। টুকলি করছো কেন? নতুন কিছু বের করো। নতুন কিছু করার তো নেই। বিজেপি খুনিদের মাস্টার। দাঙ্গাবাজ, লুঠেরা।’
তিনি বলেন, ‘কেউ ভয় দেখাতে এলে ভয় পাবেন না। ওরা বাইরের গুন্ডাদের নিয়ে এসেছে ভোট লুঠ করার জন্য। কফি হাউসে গুন্ডারা বসে আছে। কফি হাউস পর্যন্ত দখল করতে গিয়েছে। আমি কারও নাম বলে ওদের হাইলাইট করতে চাই না। ওরা জানে কফি হাউসে কারা যেত? বাইরের থেকে গুন্ডা নিয়ে এসে বলছে, বাংলা দখল করতে হবে। ওরা আমায় জানে না। আমি ভাঙি, তবু মচকাই না। আমি মাথা নত করি না। আমি ভয় পাই না। আমি বাঘের বাচ্চার মতো লড়াই করি। আপনারাও ভয় পাবেন না। খেলা হবে। ২৭ তারিখ থেকে খেলা শুরু করুন। বাংলায় জিতলেই এ বার দিল্লি ঝাঁপাব। ওরা সেটা জানে।’