দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক: শীত-ঠান্ডা উপেক্ষা করে সল্টলেকের এসএসসি অফিসের সামনে আপার প্রাইমারিতে শিক্ষক পদে দ্রুত নিয়োগের দাবিতে রাতভর অবস্থান করলেন হবু শিক্ষকরা। চাকরিপ্রার্থীরা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, দাবি না মিটলে চলবে অবস্থান। প্রয়োজনে পড়লে অনশনের রাস্তাতেও হাঁটতে প্রস্তুত তাঁরা ।
গতকাল থেকে বিধাননগরে স্কুল সার্ভিস কমিশনের দপ্তরের বাইরে অবস্থানে বসেন কয়েকশো চাকরিপ্রার্থী । আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, তাঁরা ২০১৪ সালে আপার প্রাইমারিতে চাকরির ফর্ম ফিলআপ করেছিলেন । কিন্তু, পরীক্ষা হওয়ার পর ২০২০ শেষ হতে চললেও চাকরি পাননি তাঁরা । সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও একাধিকবার আদালতে আটকে যায় এই চাকরিপ্রার্থীদের নিয়োগ প্রক্রিয়া। আগামী বছর রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে তাঁদের সমস্যার সমাধান হবে, এই আশা নিয়েই মঙ্গলবার থেকে আন্দোলনে নেমেছেন চাকরিপ্রার্থীরা। আদালতের বিচারপ্রক্রিয়া এখনও সম্পন্ন হয়নি । তাই আচার্য সদনের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ থেকে একইসঙ্গে রাজ্য সরকার ও বিচারপতির কাছে আবেদন করেছেন চাকরিপ্রার্থীরা ।ক্ষোভের আগুন ধিক ধিক করে জ্বলছিল ৷ সেই ক্ষোভ থেকে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেছেন আপার প্রাইমারি স্তরের হবু শিক্ষকরা । মালদা, পূর্ব মেদিনীপুর, নদিয়া, কোচবিহার, উত্তর ২৪ পরগনা সহ রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে চাকরিপ্রার্থীরা এসে প্রথমে জড়ো হন সল্টলেকে করুণাময়ী বাসস্ট্যান্ডে ৷ পুলিশ চাকরীপ্রার্থী শুনলেই আটক করে ভ্যানে তুলছিল ৷ এই খবর পাওয়ামাত্র অন্যান্য শতাধিক আন্দোলনকারীরা চলে আসেন স্কুল সার্ভিস কমিশনের প্রধান দপ্তর আচার্য সদনের সামনে । সেখানেই বিক্ষোভে শামিল হন চাকরিপ্রার্থীরা ৷
উল্লেখ্য, গতকাল আমরণ অনশনের হুমকি দিয়ে আন-এডেড মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষিকারা আন্দোলনে বসেন। কিন্তু তাদের প্রকাশ্যে রাস্তার উপর নির্মম ভাবে অত্যাচার করে গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠল কলকাতা পুলিশের বিরুদ্ধে। ঘটনার পরে শতাধিক শিক্ষক-শিক্ষিকা লালবাজারে পৌঁছন। তাঁরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, লালবাজার থেকেই এই আন্দোলন শুরু করবেন। শুরু হবে আমরণ অনশনও। অভিযোগ উঠেছে, সংগঠনের রাজ্য সভাপতি জাভেদ মিয়াঁদাদকে নির্মমভাবে মেরে রক্তাক্ত করে দেওয়া হয়। যার পর থেকে জোরালো আন্দোলনে শুরু করেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা। সেখানেই বরুণ মন্ডল নামের এক মাদ্রাসা শিক্ষকের মৃত্যু হয়।