দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক: ফের তীব্র আকার ধারণ করছে কৃষক আন্দোলন। একদিকে হরিয়ানার সিরসার দিকে আজ থেকেই এসপি-র অফিস ঘেরাও করতে এগিয়ে চলেছেন কাতারে কাতারে কৃষক। অন্যদিকে পঞ্জাবের চণ্ডীগড়ে বিজেপি বরিষ্ঠ নেতা সঞ্জয় ট্যান্ডন এবং চণ্ডীগড়ের মেয়র রবিকান্ত শর্মার গাড়ি ভাঙচুর করল কৃষকরা। এই প্রথম কৃষক বিক্ষোভ চলাকালীন চণ্ডীগড়ের বিজেপি ইউনিটের কোনও নেতা আক্রান্ত হলেন। বেশকিছু স্বেচ্ছাসেবক সহ সেক্টর ৪৮-এ অবস্থিত মোটর মার্কেটে ধন্যবাদ জ্ঞাপনের অনুষ্ঠানে এসেছিলেন বিজেপি নেতারা। স্থানীয় নেতা এবং বাজার অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন। জানা গেছে, সকাল ৯টা থেকেই প্রতিবাদী কৃষকরা জড়ো হতে থাকেন।
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে ট্যান্ডন জানিয়েছেন, ‘আমি আমার রেঞ্জ রোভার গাড়িতে ছিলাম। আচমকাই সামনে বেশ কয়েকজন প্রতিবাদী হাজির হয়। ওদের মধ্যে কেউ কেউ ভারী এবং শক্ত জিনিস দিয়ে ঘাড়িতে আঘাত করতে থাকে। সম্ভবত লোহার রড দিয়ে গাড়ির পেছনের কাচ ভেঙে দেওয়া হয়। সামনের কাচও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ওরা আমার গাড়ি খুলতে চেয়েছিল কিন্তু পারেনি। এই কাজ বহিরাগতরা পুরো পরিকল্পনা করে করেছে। ওরা শর্মার গাড়িতেও আক্রমণ করেছে। ওঁর চালক চোট পেয়েছেন। আমরা চণ্ডীগড় পুলিশকে এর বিরুদ্ধে করা পদক্ষেপ নিতে বলেছি। যদিও পুলিশের পক্ষ থেকে এখনও আমাদের সরকারিভাবে কোনও অভিযোগ দায়ের করতে বলা হয়নি।’
সূত্রের খবর, প্রতিবাদীরা হিংসাত্মক হয়ে উঠেছিল। পুলিশ তাই বিজেপির নেতাদের এবং মেয়রকে এলাকা থেকে চলে যেতে বলে। পরে সেক্টর ৩৪-এর থানায় হাজির হন ট্যান্ডন সহ বিজেপি নেতাকর্মীরা। এসএসপি (ইউটি) কুলদীপ চহাল তাঁদের সঙ্গে ঘটনা নিয়ে আলোচনা কুরেন। এর মধ্যে জনা ১২ কৃষককে বিজেপি নেতাদের আক্রমণের জন্য আটক করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন স্থানীয় গায়ক সরবংশ প্রতীক।