দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক: মোদী সরকারের কৃষক বিরোধী নতুন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে দেশজুড়ে চলছে আন্দোলন। তিন কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে অনড় দিল্লি-হরিয়ানা সিঙ্ঘু সীমান্তে বিক্ষোভরত কৃষকরা। ৪ জানুয়ারি ডেডলাইন দিয়েছেন তাঁরা। কেন্দ্রীয় সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলা হয়েছে, ৪ জানুয়ারির বৈঠকে যদি কেন্দ্রীয় সরকার কোনও সদর্থক ভূমিকা না নেয়, তাহলে তীব্র আন্দোলনের পথে যাবেন তাঁরা। এদিকে এই আন্দোলনের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন রাজ্যের শিল্পী, সাহিত্যিক, সমাজকর্মী, শিক্ষাবিদদের একাংশ।
কৃষক আন্দোলনের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন, রাজ্যের বুদ্ধিজীবীদের একাংশ। রবিবার ব্যারাকপুর সুকান্ত সদনে দুপুর দেড়টায় সভার আয়োজন করা হয়েছে। সেই সভায় বক্তা হিসেবে থাকবেন, আল্দোলনে অংশ নিয়ে আসা কৃষকসভার নেতা হান্নান মোল্লা এবং মহঃ সেলিম। এছাড়াও বক্তা হিসেবে থাকবেন, নাট্যব্যক্তিত্ব কৌশিক সেন, পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, ওয়াসিম কাপুর, স্বপ্নময় চক্রবর্তীর মতো ব্যক্তিত্বরা। সভায় সভাপতিত্ব করবেন নাট্যকার চন্দন সেন। সভায় কবি শঙ্খ ঘোষ এবং নাট্যব্যক্তিত্ব বিভাস চক্রবর্তীর সমর্থনপত্র পাঠ করা হবে।
কৃষক আন্দোলনের সমর্থনে বিবৃতি দিয়েছেন কবি শঙ্খ ঘোষ। এক বার্তায় তিনি বলেছেন, রাষ্ট্রশক্তির চাপিয়ে দেওয়া সর্বনাশা কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে গোটা দেশের কৃষকরা এক দুঃসাহসিক আন্দোলনে সামিল হয়েছেন। রাজনৈতিক দলমত নির্বিশেষে ছাত্র, যুব, শিল্পী, সাহিত্যিকদের সঙ্গে তিনিও চান এই আন্দোলন সফল হোক।
শঙ্খ ঘোষ তাঁর বার্তায় বলেছেন, এই আন্দোলনের প্রতি একাত্মতা জানানোর জন্য ৩ জানুয়ারি রবিবার ব্যারাকপুরের সুকান্ত সদনে একটি সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে। শারীরিক বিকলতার কারণে তিনি এই সভায় উপস্থিত থাকতে না পারলেও দেশে নানা জায়গা থেকে আগত সবাইকে তাঁর শ্রদ্ধা ও অভিবাদন জানিয়েছেন আগে থেকেই।
এব্যাপারে বিবৃতি দিয়েছেন নাট্যব্যক্তিত্ব বিভাস চক্রবর্তীও। তিনি বলেছেন, কুকৌশলে অতিমারির সময় বেছে নিয়ে কৃষকদের প্রতিনিধিত্বমূলক কোনও সংস্থার সঙ্গে আলোচনা না করেই কেন্দ্রীয় সরকার তিনটি আইন পাশ করিয়েছে। সংগ্রামী কৃষকদের প্রতি সমর্থন এবং অভিনন্দন জানিয়ে তিনি ভারতমাতার কাছে প্রার্থনা করেছেন, যাতে সরকারের সুমতি হয়।