দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক: গালভরা চাপ দাড়ি আর পাকানো গোঁফের বাহার আকর্ষণ বাড়াচ্ছে পুরুষদের। কিন্তু এই বাহার যে করোনা ভাইরাসকেও আকর্ষণ করছে, তেমনটাই জানাচ্ছে গবেষণা। টিকা দেওয়ার পর থেকে সংক্রমণ একটু একটু করে কমতে শুরু করেছে। এমন পরিস্থিতিতে অনেক রাজ্যই লকডাউনটি উঠিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে, সরকারের তরফ থেকে সকলকে সতর্ক থাকার জন্য আবেদন করা হয়েছে। এরই মধ্যে কোভিড সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন সামনে এসেছে, যেখানে দেখা গিয়েছে যে সব মানুষের দাড়ি রয়েছে, তাঁদের কোভিড সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি। পূর্ববর্তী গবেষণায় দেখা গিয়েছিল, যে কোনও সংক্রামিত ব্যক্তির কাশি, হাঁচি বা শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে কোভিড -১৯ রোগ ছড়িয়ে পড়ে। এই সমীক্ষায় বলা হয়েছে দাড়ি বা লম্বা চুল থেকে সংক্রমণ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।
যদি সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা হয়, তবে চুল বা দাড়ি থেকেও সংক্রমণের সম্বাভনা নেই। তবে, কেউ যদি আপনার মাথার পিছনে হাঁচে বা কাশে, আর তাতে যদি চুলে ড্রপলেট পড়েও, তাতে সংক্রমণ ছড়ানোর মতো নির্দিষ্ট পরিমাণ ভাইরাস থাকতে হবে। আপনি যদি চুলের সেই অংশে হাত দেওয়ার পর আপনার মুখের কোনও অংশ স্পর্শ করেন, তা হলেও সংক্রমণ ছড়ানোর সম্ভাবনা বেশি। সর্বশেষ গবেষণায় মানুষের দাড়িও মারণ ভাইরাসের কারণ হিসাবে বলা হয়েছে। লকডাউনের সময় অনেকেই দাড়ি বাড়িয়েছেন চিকিৎসকরা এখন এটিকে সংক্রমণের ঝুঁকিপূর্ণ বলে মনে করছেন।
আমেরিকান একাডেমি অফ চর্মাটোলজির সদস্য ডঃ অ্যান্টনি এম রসি বলেছেন যদি কারও দাড়ি যদি খুব ঘন এবং বড় হয় তবে মাস্ক সঠিকভাবে মুখে বসে না। এর ফলে সংক্রমণ আপনার অভ্যন্তরে প্রবেশ করতে পারে দ্রুত। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যে যাদের দীর্ঘ দাড়ি রয়েছে তারা কেবল নিজেরাই ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলছেন না, তাঁদের কারণে অন্যরাও কোভিডে আক্রান্ত হতে পারেন।
২০২০ সালে সিডিসি একটি সমীক্ষায় জানিয়েছিল, কোনও মাস্কই সম্পূর্ণভাবে মুখে এমন আবরণ তৈরি করতে পারে না, যা কোনও ভাইরাসকে ১০০ ভাগ ঠেকিয়ে রাখতে পারে। সে সার্জিক্যাল মাস্ক হোক বা অন্য কোনও মাস্ক। মুখ যদি দাড়িতে ভরা থাকে, তাহলে মাস্কের কার্যকারিতা ওই রোমের উপস্থিতিতে বাধাপ্রাপ্ত হয়।
অনেকেই ভাবেন তাঁদের দাড়ি এই ফিল্টারের কাজ করতে সক্ষম। কিন্তু আদতে তা হয় না। বরং, মুখ দাড়িতে ভরা থকালে মাস্কটা ঠিকমতো মুখ ঢেকে রাখতে পারে না। ফলে পাশ দিয়ে ভাইরাস ঢোকার সম্ভাবনা থেকে যায়। এছাড়া রোমের প্রান্তভাহ নরম মাস্কের আঘাত করে তার মধ্যে ফুটো তৈরি করে দেয় যা খলি চোখে দেখা যায় না। এই ফুটো দিয়ে আবার ভাইরাস প্রবেশ করার সম্ভবনা থাকে ২০ থেকে ১০০ গুণ।