দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক: করোনার থাবায় নাজেহাল গোটা বিশ্ব। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। কিন্তু বিগত কয়েকমাস ধরে সমস্ত কর্মের প্রতিষ্ঠান খুললেও বাদ রয়েছে শুধু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। তাই এবার করোনা বিধি মেনে রাজ্যের সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার দাবি জানাদ ছাত্র সংগঠন স্টুডেন্টস ইসলামিক অর্গানাইজেশন অফ ইন্ডিয়া( এসআইও) ।
এসআইও’র পশ্চিমবঙ্গের সভাপতি সাবির আহমেদ বলেন, “করোনা মহামারীর প্রকপে সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শিক্ষা ব্যবস্থা।” অনলাইনে পড়াশোনার প্রেক্ষিতে তিনি বলেন, “রাজ্যের অধিকাংশ পড়ুয়া অনলাইনে পড়াশোনার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এবং গ্রামের ছাত্রছাত্রীরা সবথেকে বেশি এই বঞ্চনার শিকার।”
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, ন্যাশনাল স্যাম্পেল অফ সার্ভের সমীক্ষা অনুযায়ী গ্রামীন পশ্চিমবঙ্গের মাত্র ২১ শতাংশ পরিবার ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারে। লকডাউনের ‘নিউ নর্মালে’ স্বাভাবিক হতে থাকা জীবনযাত্রায় শুধুমাত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় দ্রুত স্কুল-কলেজ চালু করার দাবি জানিয়ে সাবির আহমেদ বলেন, “রাজনৈতিক কার্যক্রম থেকে সামাজিক জমায়েত সমস্ত কিছু চলতে থাকলেও কোন এক অদৃষ্ট কারণে সরকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলছে না।” তিনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলতে সংগঠনের পক্ষ থেকে একগুচ্ছ প্রস্তাব পেশ করেন এবং অবিলম্বে শিক্ষাঙ্গনে পঠনপাঠন শুরুর উদ্যোগ নিতে রাজ্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
সংগঠনের পক্ষ থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলতে একগুচ্ছ প্রস্তাব পেশ করা হয়,
সেগুলো হল-
১) সংক্রমক এলাকা ছাড়া সমস্ত এলাকায় অবিলম্বে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দিতে হবে।
২) প্রথম পর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয়, মহা বিদ্যালয় এবং উচ্চ বিদ্যালয় খুলতে হবে।
৩) প্রশাসনের পক্ষ থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে কড়া নজরদারি চালাতে হবে।
৪) প্রতিদিন পর্যায়ক্রমে কিছু কিছু সংখ্যক পড়ুয়াদের নিয়ে পঠনপাঠন চালু করতে হবে।
৫) পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে আগামীতে প্রাথমিক ও উচ্চ প্রাথমিক বিদ্যালয়ও খুলতে হবে।
৬) ক্লাসরুমে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে বসার ব্যবস্থা করতে হবে।
৭) কঠোরভাবে স্বাস্থ্য বিধি মেনে শিক্ষাঙ্গন চত্বরে প্রবেশের ব্যবস্থা করতে হবে।
৮) নিয়মিত ক্লাসরুম ও শিক্ষাঙ্গন চত্বর স্যানিটাইজ করতে হবে।
৯) পড়ুয়াদের জন্য শরীরের তাপমাত্রা পরিমাপক যন্ত্র, মাস্ক, স্যানিটাইজার পর্যাপ্ত পরিমাণে রাখতে হবে।
১০) নিয়মিত পড়ুয়াদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে হবে।