Tuesday, April 16, 2024
Latest Newsদেশফিচার নিউজ

হনুমান চল্লিশা যন্ত্র’র প্রচার, ৪ টিভি চ্যানেলের বিরুদ্ধে মামলার নির্দেশ বম্বে হাইকোর্টের

দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক: অন্ধবিশ্বাসে উত্সাহ দেয় এমন বিজ্ঞাপনী প্রচার চালানোর মাধ্যম হিসাবে টেলিভিশন চ্যানেলের ততটাই বড় অপরাধী এবং সাজার পাত্র যতখানি অন্ধবিশ্বাসের প্রচারকারী সেই বিজ্ঞাপনী সংস্থা, পর্যবেক্ষণ বম্বে হাইকোর্টের ঔরঙ্গাবাদ বেঞ্চের। হনুমান চাল্লিশা যন্ত্র-এর বিজ্ঞাপনী প্রচারের জন্য মঙ্গলবার বম্বে হাইকোর্ট মহারাষ্ট্র সরকারকে নির্দেশ দিল চার টেলিভিশন চ্যানেলের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করবার।

এদিন বিচারপতি টিভি নালাওয়াদে এবং বিচারপতি এমজি সেওলিকরের ডিভিশন বেঞ্চ ঘোষণা করেন, এই ধরণের বিজ্ঞাপনের প্রচার বেআইনি এবং শাস্তিমূলক। মহারাষ্ট্রের মানব বলিদান এবং অন্যান্য অমানবিক, দুষ্ট ও অঘোরি অভ্যাস এবং কালো জাদু আইন রোধ ও নির্মূলকরণ, ২০১৩ অনুসারে এই ধরণের বিজ্ঞাপনের প্রচার পুরোপুরিভাবে বেআইনি।

কালো জাদু আইনের তিন নম্বর ধারায় শুধু এগুলি রোধ করা বা নির্মূল করা নয়, এগুলোর প্রচারও আইনত অপরাধ বলে বিবেচ্য। তাই এই ধারায় সেই সমস্ত টেলিভিশন চ্যানেলগুলিও দোষী যারা এই ধরণের বিজ্ঞাপন প্রচার করছেন যা অন্ধবিশ্বাসে উত্সাহ দিচ্ছে।

ঔরাঙ্গাবাদের এক শিক্ষক রাজেন্দ্র অম্বোরে এই ধরণের যন্ত্রের প্রচারের বিরোধিতা করে পিটিশন দাখিল করেছিলেন আদালতে। তাঁর আবেদনে তিনি বলেন, ভগবানের নাম নিয়ে লোক ঠকানোর ব্যবসা চালানো হচ্ছে এবং তাতে উত্সাহ দিচ্ছে টেলিভিশন চ্যালেনগুলি।

বিজ্ঞাপনদাতা সংস্থা, টেলিমার্ট শপিং নেটওয়ার্ক প্রাইভেট লিমিটেড জবাবে জানায়, এই যন্ত্রে যে বিধির কথা বলা হয়েছে তা হিন্দু ধর্মের অন্তর্ভুক্ত বিধি, এগুলি কোনওভাবেই কালো জাদু হিসাবে গণ্য করা যেতে পারে না। যদিও এই দলিল ধোপে টেকেনি। সাধারণ মানুষ এই সব চাকচিক্য লাগানো বিজ্ঞাপনী প্রচারের ফাঁদে পড়ে ভুল পথে চালিত হন, জানায় আদালত। রাজ্য সরকারকে বিশেষ শাখা গঠন করে এই ধরণের বিজ্ঞাপনের উপর অবিলম্বে প্রতিবন্ধকতা লাগাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কোনও টেলিভিশন চ্যানেল এইগুলি সম্প্রচার করলে তারাও সমান দোষী হবে।

Leave a Reply

error: Content is protected !!