দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক: কথায় আছে না ‛চোরের মায়ের বড় গলা’। গো মাতা, গো মাতা যারা কেঁদে বুক ভাসাচ্ছে, তাদের ভন্ডামি এবার প্রকাশ্যে। আসলে যে তারা ‛গো রক্ষক’ নয় তারা গো রক্ষার নামে সন্ত্রাসী তা ফের প্রমাণ হয়ে গেল। মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার পর এতোদিন দেশজুড়ে গো রক্ষার নামে বজরং দলের নেতা কর্মীরা একাধিক মানুষকে হত্যা করার ঘটনা সামনে এসেছে। এবার ‛গো রক্ষার’ নামে গরু চুরি করে কসাইখানায় বিক্রি করার অপরাধে গ্ৰেফতার হলেন এক বজরং নেতা। ঘটনাটি ঘটেছে কর্ণাটকের কারকালা জেলায়।
সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, গরু রক্ষার নামে গরু পাচার করছিলেন বজরং নেতা অনিল প্রভু। তিনি কর্কলা জেলার হিন্দুত্ববাদী সংগঠন বজরং দলের কনভেক্টর ছিলেন। অনিল নিজেকে গো রক্ষা কমিটির তত্ত্বাবধায়ক হিসাবে স্বীকার করেছে। ইতিমধ্যে পুলিশ তাকে গ্ৰেফতার করেছে।
কিছুদিন আগে পশু চুরির অভিযোগে গ্রেফতার হয় আরও এক ব্যক্তি। তাকেই জিজ্ঞাসাবাদ করেই পুলিশ জানতে পারে যে অনিলও তার সাথে গরু চুরির ব্যবসায় জড়িত।
পুলিশ জানিয়েছে, অনিল প্রভু বাড়ির বাইরে বাঁধা গরু সহ বিভিন্ন গবাদি পশু চুরি করতেন এবং তারপরে কসাইখানাগুলিতে বিক্রি করতেন। এর জন্য তারা দু’জনেই মোটা অঙ্কের টাকা পেতেন।
তবে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পরে বজরং দল অনিল প্রভুর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। বজরং দল একটি বিবৃতি জারি করে জানিয়েছে যে অনিল প্রভু আর সংগঠনের সাথে যুক্ত নন।
উল্লেখ্য যে বজরং দল হ’ল এমন একটা কট্টরপন্থী হিন্দুত্ববাদীদের দল যারা নিজেদের কে গো রক্ষক বলে মনে করে। গরু রক্ষার নামে মানুষ হত্যাৎ এই সংগঠনের অনেক কর্মীর নাম জড়িয়ে রয়েছে। এখন এই দলের সাথে যুক্ত অনিল প্রভুকে গরু চুরি ও কসাইখানাতে বিক্রি করার দায়ে গ্রেফতার করা হয়েছে। যা বজরঙ্গ দলের গো রক্ষার বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলেছে হিন্দুরাই।
(তথ্যসূত্র- বোলতা হিন্দুস্থান)