দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক: জোর জবরদস্তি আন্দোলন সরানোর চেষ্টা যোগী সরকারের। কিন্তু এক পা-ও নড়ব না বলে হুঙ্কার দিলেন কৃষকরা। গাজিপুর সীমান্তে বিক্ষোভকারীদের একপ্রকার জোর করে তুলে দেওয়ার ছক কষেছিল উত্তরপ্রদেশের প্রশাসন। বৃহস্পতিবার রাতের মধ্যে গাজিপুরে কৃষকদের বিক্ষোভস্থল খালি করে দেওয়ার নির্দেশ দেয় যোগী সরকার। সেখানে জারি করা হয় ১৪৪ ধারা। বিক্ষোভস্থল কার্যত ছেয়ে ফেলা হয় নিরাপত্তারক্ষীতে। এমনকী ৪ কোম্পানি র্যাফ মোতায়েন করা হয়। ওই বিক্ষোভস্থলে বিদ্যুৎ এবং জলের সরবরাহ আগে থেকেই অনিয়মিত করে দেওয়া হয়েছিল। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে ঘটনাস্থলে যান ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়নের নেতা রাকেশ টিকাইত । যার বিরুদ্ধে কিনা দেশদ্রোহিতার মামলা করেছে সরকার। টিকাইত ঘটনাস্থলে যেতেই বদলে যায় পরিস্থিতি। তিনি অভিযোগ করেন, বিজেপি ষড়যন্ত্র করে বিক্ষোভ বন্ধ করে দিতে চাইছে।
চোখের জলে ঘোষণা করেন, “কৃষি আইন প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত এক পাও নড়ব না। প্রয়োজনে গুলি খাব। প্রয়োজনে অনশন করব। নিজের গ্রাম থেকে এনে জল খাব। রাকেশ টিকাইত আত্মহত্যা করবে, তবু বিক্ষোভ স্থল ছাড়বে না।”
টিকাইতের সেই আবেগঘন ভাষণ কৃষকদের জন্য টনিকের কাজ করে। রাতারাতি শ’য়ে শ’য়ে কৃষক নতুন করে গাজিপুরের বিক্ষোভস্থলে হাজির হন। উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান এবং হরিয়ানার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজার হাজার কৃষক ট্রাক্টরে চেপে গাজিপুরের উদ্দেশে রওনা দেন। গতকাল সারারাত কৃষক নেতারা গাজিপুরের বিক্ষোভস্থলে ‘জয় জওয়ান-জয় কিষাণ’ স্লোগান দেন।
সেই সঙ্গে উড়তে দেখা যায় জাতীয় পতাকা। এরপরই কৃষক নেতারা জানিয়ে দিয়েছেন, সরকারের ৩ কৃষি আইন বাতিল না হওয়া পর্যন্ত নিজেদের বাড়িতে ফিরবেন না তাঁরা। তাঁদের অভিযোগ, কৃষকদের আন্দোলন রুখতে গাজিপুরের প্রতিবাদস্থলে গুন্ডা পাঠিয়েছে বিজেপি সরকার। কৃষকদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে।