সামাউল্লাহ মল্লিক, দৈনিক সমাচার, সাঁকরাইল : যেকোনও বিপদে গ্রামের মানুষের ভরসা সেই মেম্বাররাই। অথচ সুপার সাইক্লোন আমফান তাণ্ডব চালিয়ে যাওয়ার ১৫ দিন পরেও নিজ বুুুথে মুখ দেখাতেও যাননি হাওড়ার সাঁকরাইল সারেঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েতের পঞ্চায়েত সদস্য পলাশ কয়াল। পলাশ বাবু ২৫৬ নং বুথের জনপ্রতিনিধি।
ওই বুথের বাসিন্দাদের অভিযোগ, ঝড়ে অনেকেরই বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এমনকি কয়েকজনের বাড়ির পুরো চালায় উড়ে গিয়েছে। ঝড়ের পরদিন থেকে পলাশ বাবুকে বারবার ডাক করিয়েও কাজ হয়নি। সাহায্য তো দূরের কথা, একবার দেখতেও আসেননি ওই পঞ্চায়েত সদস্য।
ঝড়ের কয়েকদিন পরে গ্রামের কিছু মানুষ তাঁর বাড়িতে সাহায্য চাইতে গেলে, তিনি তাঁদের ব্যাঙ্ক একাউন্ট ডিটেইলস ও ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির ছবি নিয়ে সাহায্যের আশ্বাস দেন। রাজ্যের বহু এলাকায় রাজ্য সরকারের তরফে ক্ষতিপূরণ দিয়ে দেওয়া হলেও পলাশ বাবুর বুথের কেউ ক্ষতিপূরণ পেয়েছে বলে জানা যায়নি। এমনকি ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য একটি ত্রিপলেরও ব্যবস্থা করেননি পলাশ বাবু।
প্রশ্ন ওঠে গিয়েছে, আদৌ কি ক্ষতিগ্রস্তদের ভাঙা বাড়ির ছবি ও ব্যাঙ্ক ডিটেইলস নিয়ে সরকারি দফতরে জমা করেছেন পলাশ বাবু? ক্রমশ জটিল হচ্ছে বিষয়। কিছু গ্রামবাসীর আবার গুরুতর অভিযোগ, পলাশ বাবু শুধুমাত্র তাঁর দলীয় কর্মী ও সমর্থকদের একাউন্ট নম্বরই ক্ষতিপূরণের টাকা পাওয়ার জন্য জমা দিয়েছেন।