দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক: অসমে ডিটেনশন ক্যাম্পে বন্দি হাজার হাজার মানুষ। এমনকি ডিটেনশন ক্যাম্পে মারা গিয়েছেন একাধিক। কিন্তু এদিকে সংসদে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক জানাল, দেশে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে সিএএ এবং এনআরসির জন্য এখনও কোনও ডিটেনশন ক্যাম্প তৈরি করেনি। এদিন রাজ্যসভায় এমনটাই জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী নিত্যানন্দন রাই।
রাজ্যসভায় লিখিত উত্তরে নিত্যানন্দ রাই বলেছেন, প্রয়োজন অনুযায়ী ডিটেনশন ক্যাম্প গুলি তৈরি করে রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলি। সেখানে কেন্দ্রীয়ভাবে কোনও নজরদারি করা হয় না। অবৈধ অনুপ্রবেশকারী এবং বিদেশিদের জন্য এই ডিটেনশন ক্যাম্পগুলি তৈরি করা হয়। রাজ্যগুলিতে থাকা ডিটেশনক্যাম্পে অনেকেই তাদের শাস্তির সময়কাল কাটিয়ে ফেলেছেন। তারা নিজের দেশে ফিরে যাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন।
মন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় সরকার এখনও পর্যন্ত ভারতীয়দের জন্য জাতীয় পঞ্জী তৈরি করার কোনও সিদ্ধান্ত এখনও নেয়নি। তিনি আরও বলেছেন, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী. যেসব বিদেশি, তাঁদের শাস্তির সময় শেষ করে ফেলেছেন, তাঁদের জেল থেকে মুক্তি দিয়ে উপযুক্তস্থানে রাখতে বলা হয়েছে।
২০১৯-এর ডিসেম্বর থেকে সিএএ বিরোধী আন্দোলনে উত্তাল হয়েছিল দেশের বিভিন্ন জায়গা। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছিলেন, বিরোধীরা যতই বাধা দিক, মোদী সরকার সিএএ লাগু করবে এবং উদ্বাস্তুদের নাগরিকত্ব দেবে। ভোটের প্রচারে ঠাকুরনগরে এসে অমিত শাহ বলেছিলেন দেশে করোনার টিকাকরণের কাজ শেষে হলেই সরকার সিএএ নিয়ে কাজ শুরু করবে।
ছটি ধর্মের মানুষজন, হিন্দু, শিখ, জৈন, বুদ্ধিস্ট, পাস্তি, খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীরা যাঁরা পাকিস্তান, বাংলাদেশ, আফগানিস্তান থেকে ভারতে এসেছেন তাঁরা সিএএর সুবিধা পাবেন। যাঁরা ২০১৪-র ৩১ ডিসেম্বরের আগে এসেছেন, তাঁরাই এই সুবিধা পাবেন বলে নির্দিষ্ট করা হয়েছে সংসদে পাশ হওয়া আইনে।