দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক: আজ, বৃহস্পতিবার, ২০ মে, আমফানের বর্ষপূর্তি৷ গত বছর এই সময় বাংলা উপর দিয়ে বয়ে গিয়েছিল ভয়ঙ্কর ঝড় যাতে লন্ডভন্ড হয়েছিল একাধিক এলাকা৷ ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ছিল অনেকটাই৷ গোটা দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে ধ্বংসলীলা চালিয়েছিল এই সুপার সাইক্লোন৷ ঠিক ১ বছরের মাথায় আবার ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে বঙ্গোপসাগরে৷ যা স্বাভাবিকভাবেই ফিরিয়ে আনছে আমফান আতঙ্ক৷
প্রথমে উত্তর পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে অভিমুখ থাকলেও পরে অভিমুখ পরিবর্তন হতে পারে। এখনও পর্যন্ত এই ঘূর্ণিঝড়ের যা অভিমুখ তাতে বাংলা -ওড়িশা উপকূল এলাকাতেই আছড়ে পড়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে ঘূর্ণিঝড় যশের। সেক্ষেত্রে বাংলার দীঘা-শঙ্করপুর উপকূল থেকে ওড়িশার বালাসোর উপকূলের মাঝে এটি স্থলভাগের প্রবেশ করার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে।
প্রথমে উত্তর পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে অভিমুখ থাকলেও পরে অভিমুখ পরিবর্তন হতে পারে। এখনও পর্যন্ত এই ঘূর্ণিঝড়ের যা অভিমুখ তাতে বাংলা -ওড়িশা উপকূল এলাকাতেই আছড়ে পড়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে ঘূর্ণিঝড় যশের। সেক্ষেত্রে বাংলার দীঘা-শঙ্করপুর উপকূল থেকে ওড়িশার বালাসোর উপকূলের মাঝে এটি স্থলভাগের প্রবেশ করার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়ের দাপটের কথা মাথায় রেখে সবরকম ব্যবস্থা নিচ্ছে নবান্ন৷ একে করোনার সময়, রাজ্যে কার্যত লকডাউন চলছে৷ তার মধ্যেই এই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের চোখ রাঙানি৷ তাই ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে খুব সতর্কতার সঙ্গে৷
আমফানে যে সমস্ত এলাকার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছিল, সেই সব এলাকার দিকে বিশেষ নজর রয়েছে প্রশাসনের। হিংলগঞ্জ, সন্দেশখালি-সহ একাধিক এলাকায় বিশেষ নজর রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ২৩ মে-র মধ্যে নৌকা, ট্রলার ফিরিয়ে আনার নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন। আবহাওয়া দফতররের অনুমান, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়তে পারে পূর্ব মেদিনীপুরের দিঘা, শঙ্করপুর, জুনপুট, মন্দারমনি, তাজপুরের সৈকতে। ঝড় আসার নাম শোনার পর থেকেই আতঙ্কে ঘুম উড়েছে সুন্দরবনের একাধিক দ্বীপের বাসিন্দাদের।
বিশেষ করে গত বছর আমফানের কথা মাথায় রেখে কোনও ঝুঁকি নিতে চাইছে না প্রশাসন৷ বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর সহ সংশ্লিষ্ট কয়েকটি দফতরের ছুটি বাতিল করা হয়েছে৷ সমুদ্রে যাওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে৷ ঝড় নিয়ে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক হয়েছে৷ যাতে মুখ্যমন্ত্রী, মুখ্যসচিব ছাড়াও ছিলেন শীর্ষ প্রশাসনিক কর্তারা৷ ছিলেন সেনাবাহিনী, নৌসেনা ও উপকূলরক্ষী বাহিনীর কর্তারাও৷