দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক: ‘তোলাবাজ ভাইপো হটাও’, গেরুয়া হয়েই এমনটাই হুঙ্কার দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। গেরুয়া শিবিরে যোগদান করে শুধু নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই নয়, নিশানা করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। অভিষেকের নাম না করেই শুভেন্দু আওয়াজ তুললেন। দিলেন নয়া স্লোগান- তোলাবাজ ভাইপো হটাও। তাঁর এই স্লোগানেই স্পষ্ট হল তৃণমূলে শুভেন্দুর পয়লা নম্বর শত্রু ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
শুভেন্দু অধিকারীকে যুব তৃণমূল সভাপতির পদ থেকে সরানোর পর থেকেই দূরত্ব তৈরি হতে শুরু করেছিল তৃণমূলের সঙ্গে। মুকুল রায়ের অঙ্গুলিহেলনে শুভেন্দুকে সরিয়ে সৌমিত্র খাঁকে যুব সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়। আর যুবার সভাপতি করা হয় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তারপর যুব আর যুবাকে মিশিয়ে সৌমিত্রকে সরিয়ে দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয় অভিষেককে।
সেই থেকেই অভিষেকের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা শুরু শুভেন্দুর। শুভেন্দু অনুগামীদের অভিযোগ ছিল, যোগ্যতা না থেকেও অভিষেক অনেক কিছু পেয়ে যাচ্ছেন, কিন্তু যোগ্যতা থেকেও শুভেন্দু পাচ্ছেন না কিছুই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য শুভেন্দুকে তাঁর মন্ত্রিসভায় সদস্য করে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রক দিয়ছিলেন। তাতেও খুশি ছিলেন না শুভেন্দু।
সম্প্রতি প্রশান্ত কিশোরকে এনে অভিষেককেই গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। তা ভালোভাবে নেননি শুভেন্দু। তাই তিনি চরম সিদ্ধান্তটা নিয়েই নিলেন। আর বিজেপিতে যোগদান করেই টার্গেট করলেন অভিষেককে। নাম না করেই বিজেপি নেতাদের ঢঙে তিনি স্লোগান তুললেন- তোলাবাজ ভাইপো হঠাও। শুভেন্দুর মুখে নয়া স্লোগানে খুশির জোয়ার বিজেপিতেও।
শুভেন্দু বলেন, আমিও চাই কলকাতা আর দিল্লিতে একই দলের সরকার থাকুক। নরেন্দ্র মোদীর হাতে বাংলা তুলে দিতে হবে। কাল থেকেই আমি নেমে পড়ব সেই কাজে। বাংলায় পরিবর্তন আনতে হবে। তবেই বাংলার মুক্তি ঘটবে। আমি যখন যে কাজ করি নিষ্ঠার সঙ্গে করি। এতদিন তৃণমূলের হয়ে বিজেপিকে নিশানা করেছি, শুভেন্দুর নিশানা অভিষেক। তাই স্লোগান- তোলাবাজ ভাইপো হটাও।
শুভেন্দু বলেন, ৯৯-তে আমি জয়েন করেছিলাম তৃণমূলে। তারপরই এনডিএ প্রার্থীকে জিতিয়েছিলাম। তখন যদি পারি, এখন নয় কেন? আজ আমি বলে যাচ্ছি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম হতে পারবেন না, প্রথম হবে ভারতীয় জনতা পার্টি। মমতা হবেন দ্বিতীয়। বাংলায় জিতবে বিজেপিই। আবার পরিবর্তন আসছে বাংলায়।