দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক: রাত তখন তিনটে। নিজের ১৯ দিনের সন্তানকে দুধ খাওয়াতে গিয়ে শিউড়ে উঠলেন মা। সদ্যোজাতর পা থেকে চুঁইয়ে চুঁইয়ে রক্ত ঝরছে। গোড়ালি থেকে বাকি অংশ খুবলে নেওয়া হচ্ছে। খুবলে নিয়েছে ধেড়ে ইঁদুর। মধ্যপ্রদেশের সরকারি হাসপাতালের ঘটনার বিবরণ শুনে শিউড়ে উঠেছে দেশবাসী।
নির্দিষ্ট সময়ের আগেই ভূমিষ্ঠ হয়েছে প্রিয়াঙ্কা ও কিষাণ ডাইমার সন্তান। প্রিম্যাচিওর বা অপিরণত শিশুকে বিশেষ ‘কেয়ারে’ রেখেছে মধ্যপ্রদেশের সরকার পরিচালিত মহারাজা যশবন্ত রাও হাসপাতাল। দিন কয়েক আগে রাতে সন্তানকে দুধ খাওয়াতে ওঠেন প্রিয়াঙ্কা। শিশুদের জন্য নির্দিষ্ট ওয়ার্ডে গিয়ে দেখেন, তাঁর সন্তান চিৎকার করে কাঁদছে। পা থেকে গোড়ালির অংশ খুবলে আলাদা করে নিয়েছে ইঁদুর। পায়ের সেই অংশ থেকে রক্তপাত হচ্ছে।
ঘটনা প্রসঙ্গে সদ্যোজাতের বাবা কিষাণ ডাইমা বলেন, “আমার স্ত্রী দুধ খাওয়াতে গিয়ে দেখে এই ঘটনা। ঘটনার সময় হাসপাতালের কর্মীরা কোথায় ছিলেন?” তিনি আরও জানান, “আমার স্ত্রী হাসপাতালের কর্মীদের খবর দেন। তার পর তাঁরা এসে আমাদের সন্তানের প্রাথমিক চিকিৎসা করেন। কিন্তু বাচ্চার দেখাশেনার জন্য ২৪ ঘণ্টা হাসপাতালের কর্মীদের থাকার কথা। তাঁরা কেন ছিলেন না?”
ঘটনার কথা জানাজানি হতেই ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে বিজেপি-শাসিত রাজ্যের সরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। পরে অবশ্য হাসপাতালের সুপার ডা. পিএস ঠাকুর জানান, শিশুটির দেখভালের দায়িত্বে থাকা নার্স ও ওই ওয়ার্ডের দুই সাফাই কর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। এমনকী, হাসপাতালটিকে ১ লক্ষ টাকার জরিমানাও করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে সুপার বলেন, “শিশুটির প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁকে বিশেষজ্ঞ ডাক্তাররা দেখছেন। ঘটনার কথা সামনে আসতেই স্বাস্থ্য দপ্তরকে নোটিস পাঠিয়েছে সে রাজ্যের মানবাধিকার কমিশন। ১৫ দিনের মধ্যে ঘটনার পূর্নাঙ্গ রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে।