দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক: রাজীবকে পিছনে ফেলে ডোমজুড়ে এগিয়ে রয়েছেন কল্যাণেন্দু ঘোষ। সিঙ্গুরের লড়াইয়ে বিজেপি প্রার্থী রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যকে পিছিয়ে দিয়ে প্রায় ১৮০০ ভোটে এগিয়ে তৃণমূলের বেচারাম মান্না। যদিও এটা একবারেই গণনার প্রাথমিক ট্রেন্ড। কোথাও প্রথম, কোথাও দ্বিতীয় রাউন্ডের গণনা হয়েছে। এখনও নন্দীগ্রামের দুটি ব্লকের তিন শতাধিক বুথের ইভিএম গণনা বাকি। ডোমজুড় ও সিঙ্গুরেও তাই। তবে প্রাথমিক ট্রেন্ড শেষ পর্যন্ত বজায় থাকে নাকি নন্দীগ্রাম, ডোমজুড়, সিঙ্গুরে ভোট গণনা টানটান হয় এখন সেটাই দেখার।
নন্দীগ্রামের ভোট ছিল ১ এপ্রিল। তবে ১০ মার্চ বিরুলিয়া বাজারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পায়ে আঘাত পাওয়ার পর থেকেই নন্দীগ্রামের লড়াই আরও সরগরম হয়ে ওঠে। দিদির অভিযোগ ছিল, তাঁকে চক্রান্ত করে ধাক্কা মারা হয়েছে। পাল্টা বিজেপির বক্তব্য ছিল সবটাই স্টান্ট, সহানুভূতি কুড়োনোর চেষ্টা। তারপর দেখা গিয়েছে মাঝের ১৯ দিন নন্দীগ্রামে প্রচারেই যাননি দিদি। হুইল চেয়ারে বসে রাজ্যের অন্যত্র চষে বেরিয়েছেন। অন্য দিকে শুভেন্দু সারা প্রচার পর্বে নন্দীগ্রামের মাটি কামড়ে পড়ে ছিলেন। অনেকের বক্তব্য, এবার নন্দীগ্রামের ভোট হয়েছে চড়া দাগের মেরুকরণে। সেই মেরুকরণে ফাইনাল হুইসেল বাজার পর শেষ হাসি কে হাসবেন সেদিকে নজর সকলের। কিন্তু আপাতত সকাল সাড়ে পৌনে দশটার খবর, নন্দীগ্রামের মহাযুদ্ধে এগিয়ে শুভেন্দু। পিছিয়ে মমতা।