দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক: ত্রিপুরা বিজেপির সংকট কি বাড়ছে, নাকি সংকট কাটিয়ে ফের আলোর রেখা দেখতে পাবে বিপ্লব দেব সরকার। বাংলায় মুকুল রায়ের ঘরওয়াপসির পর থেকেই ত্রিপুরায় বিজেপিতে ভাঙন সমস্যা প্রকট হতে শুরু করে। মুকুল-ঘনিষ্ঠ সুদীপ রায়বর্মনের ঘরওয়াপসি নিয়ে জল্পনা শুরু হয়ে যায়। এরই মধ্যে সুদীপ রায়বর্মন বিজেপির সভাপতির সঙ্গে দেখা করেন।
সুদীপ রায় বর্মনের পর ত্রিপুরা বিজেপির জোটসঙ্গী আইপিএফটির প্রতিনিধি দল বুধবার জেপি নাড্ডার সঙ্গে একান্ত বৈঠক করেন। বিজেপির সংকটাবস্থায় সর্বভারতীয় সম্পাদক বিএল সন্তোষ-সহ কেন্দ্রীয় নেতারা ত্রিপুরা ঘুরে যান। তারপরই বিজেপি বিক্ষুব্ধ নেতা সুদীপ রায় বর্মন ও আইপিএফটির প্রতিনিধিরা দিল্লিমুখী হন। তা নিয়েও গুঞ্জন শুরু হয় রাজ্য রাজনীতিতে।
সুদীপ রায়বর্মন যেমন অনেকদিন ধরেই বেসুরো বাজছেন বিজেপিতে। মন্ত্রিসভা থেকে সরে এসেছেন। তাঁর অনুগামী বিধায়করা মন্ত্রিসভায় থাকলেও যে কোনও মুহূর্তে সরে আসতে পারেন বিপ্লব দেব সরকার থেকে। আবার আইপিএফটি-র বিধায়করা বিজেপির বিরুদ্ধে চাপ সৃষ্টির খেলা চালিয়ে যেতে চাইছেন। মন্ত্রিসভায় তাঁরা আরও এক মন্ত্রী চাইছেন।
বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা আইপিএফটি বিধায়কের সঙ্গে বৈঠকে ত্রিপুরায় এসে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা আইপিএফটি বিধায়কের সঙ্গে বৈঠকের পর থেকেই জল্পনা চলছিস, কী নিয়ে তাঁরা বৈঠক করেন। তারপর আইপিএফটি বিধায়করা আবার তারপরই দিল্লি ছোটেন। পার্বত্য এলাকায় ভোটে ব্যর্থতার পর রাজনৈতিক কৌশল তৈরি করতেই এই আলোচনা নাকি এই আলোচনার কারণ অন্য তা নিয়ে চর্চা চলছে।
আবার তার আগেই দিল্লিতে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির সঙ্গে দেখা করেন বিক্ষুব্ধ নেতা সুদীপ রায়বর্মন। এর আগেও তিনি দেখা করতে চেয়েছিলেন। তখন তাঁকে সময় দেননি নাড্ডা। এবার বাংলায় মুকুল রায়ের ঘরওয়াপসির পর টনক নড়েছে বিজেপির। ত্রিপুরায় মুকুল রায়ের হাত ধরে যদি বিজেপিতে ভাঙন ধরে, তবে সরকার বাঁচানোই সংকট হয়ে যাবে। তাই সুদীপ রায় বর্মনকে ডেকে আলাচনা করলেন জেপি নাড্ডা।
তিন বছর আগে ত্রিপুরায় ভোটের মুখে মুকুল রায়ের হাতে গড়া তৃণমূল ইউনিটকে ভাঙিয়েই বিজেপি বাড়তে শুরু করেছিল। তারপর কংগ্রেসকে ভাঙিয়ে বিজেপিরই হয়ে ওঠে ত্রিপুরার তৎকালীন শসাকদল সিপিএমের চ্যালেঞ্জার। শুধু চ্যালেঞ্জার হয়েই থেমে থাকেনি বিজেপি। সিপিএমের ২৫ বছরের সরকারের অবসান ঘটে বিজেপির হাতে।
ত্রিপুরা বিজেপির উত্তরণ সুদীর রায়বর্মনদের হাতে হলেও, অচিরেই তাঁর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের দূরত্ব তৈরি হয়। স্বাস্থ্যমন্ত্রী সুদীপ রায়বর্মনকে সরকার থেকে সরে যেতে বাধ্য হন। এখনো তিনি বিজেপিতে থাকলেও বিক্ষুদ্ধ। পৃথক মঞ্চ গড়ে রাজনৈতিক কৌশল তৈরি করছেন ২৩-এর ভোটের দিকে চেয়ে। এরই মধ্যে বিক্ষুব্ধদের সঙ্গে বিজেপির বৈঠক জল্পনা বাড়িয়ে দিল আবার।