দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক : দিল্লির নিজামুদ্দিনের ঘটনার পর থেকেই উগ্ৰ হিন্দুত্ববাদীরা করোনাকে মুসলিম বানিয়ে দিয়েছে। আর তাতে ইন্ধন জুগিয়ে চলেছে এক শ্রেণির মিডিয়া। যদিও এখন নিয়ম করেই দিল্লির একাধিক কোয়ারেন্টাইন সেন্টার থেকে হাজার হাজার তবলিগিদের ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। কারণ, তাদের কারও শরীরে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েনি। তারপরও অবশ্য এই করোনা নিয়ে মুসলিম বিদ্বেষী প্রচার কমার কোনো লক্ষণ নেই। করোনাকে হাতিয়ার করে সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে মুসলিমদের উপর আক্রমনের ঘটনা বেড়েই চলেছে। তারই প্রমাণ মিলল উত্তরপ্রদেশের আলিগড়ে।
করোনা বলে কটাক্ষ করে এক মুসলিম যুবককে বেধড়ক মারধর করল একদল উগ্ৰ হিন্দুত্ববাদী দুষ্কৃতী। আক্রান্ত ওই যুবকের নাম আবদুল সামাদ (২৫)। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের আলিগড়ে। স্থানীয় সূত্রে খবর, শুক্রবার সন্ধ্যায় আলিগড়ের শিবপুর এলাকার বাসিন্দা সামাদ একটি ওষুধের দোকানে সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। সেইসময় আচমকা কয়েকজন দুষ্কৃতী তার উপর চাড়াও হয়। দুষ্কৃতীরা সামাদকে উদ্দেশ্য করে বলতে শুরু করে তুই করোনা বয়ে বেড়াচ্ছিস। এখানে করোনা ছড়াতে এসেছিস। সেইসঙ্গে চলে বেধড়ক মারধর। মার খেতে খেতে এইসময় অচৈতন্য হয়ে পড়ে সামাদ।
আশেপাশে উপস্থিত কেউই সামাদকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসেনি। পরে খবর পেয়ে সামাদের পরিবারের লোকজনই ছুটে এসে তাকে স্থানীয় মালখান সিং জেলা হাসপাতালে ভর্তি করে। সামাদের বাবা লইকুর রহমান জানান, রোজা রাখার জন্য সামাদ একটু দুর্বল হয়ে পড়েছিল। অসুস্থ বোধ করছিল। সেইজন্য স্থানীয় একটি দোকানে ওষুধ কিনতে গিয়েছিল। সেইসময় দুষ্কৃতীরা তার উপর হামলা চালায়। তাঁরা সময়মতো ঘটনাস্থলে না পৌঁছালে সামাদের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারত। পুলিশ জানিয়েছে, ৬ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।
Support Free & Independent Journalism