দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক: ধর্ষকদের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা নিয়ে ধর্ষিতাকে বিষয়টি আপসে মিটিয়ে নিতে পরামর্শ দেওয়ার অভিযোগ উঠল যোগীরাজ্য উত্তরপ্রদেশের পুলিশের বিরুদ্ধে। রাজ্যটির বারাবাঁকি জেলার এক থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিকের বিরুদ্ধে এই গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই অভিযুক্ত পুলিশ আধিকারিককে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। থানারই আরও এক পুলিশকর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।
গত ২২ আগস্ট এক কিশোরীকে গ্রাম থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে গাজ়িয়াবাদের একটি হোটেলে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে ধর্ষকদের বিরুদ্ধে। পুলিশ সুপার দীনেশ সিংহ জানিয়েছেন, ধর্ষণে অভিযুক্তের নাম অঙ্কিত বর্মা। তিনি বিবাহিত। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁর ভাইকেও আটক করা হয়েছে। জানা গিয়েছে ধর্ষিতাকে তিন দিন ধরে ধর্ষণ করেন অভিযুক্ত। এরপর কিশোরীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে ২৫ আগস্ট বাড়ির সামনে ছেড়ে দিয়ে চলে যান।
পরিবারের অভিযোগ, মাসাউলি থানায় বিষয়টি জানাতে গেলে ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক অভিযোগ নিতে দেরি করেন। শুধু তাই-ই নয়, অভিযুক্তের কাছ থেকে টাকা নিয়ে বিষয়টি আপসে মিটিয়ে নেওয়ার জন্য ওই পুলিশ আধিকারিক চাপ দেন। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই হুলস্থুল পড়ে যায় উত্তরপ্রদেশে। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, প্রাথমিক তদন্তের পর মাসাউলি থানার ইনস্পেক্টর অরুণপ্রতাপ সিংহকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। সাসপেন্ড করা হয়েছে সাব-ইনস্পেক্টর মনোজ কুমারকে।