দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক: করোনার বাড়বাড়ন্তের মধ্যেই ভোটের প্রচার চলল সমস্ত রাজনৈতিক দলের। সেই সময় লকডাউন বলে কোনো নামগন্ধ ওঠেনি। কিন্তু যেই ভোট শেষ হল সেই আবার লকডাউনের গল্প শুরু। আর এতে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ হবেন গরীব খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষগুলো। যেমনটা ২০২০ সালে সবাই দেখে এসেছে। শুক্রবার রাজ্য স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পক্ষ থেকে পশ্চিমবঙ্গে আংশিক লকডাউনের ঘোষণা করা হয়েছে। নবান্নের তরফে জারি করা হয়েছে একটি নোটিশ। তারই বিরোধিতায় আওয়াজ তুললেন জনপ্রিয় রেডিও জকি মীর আফসার আলি। সরকারকে কটাক্ষ করে ফেসবুকে একটি পোস্ট করেন মীর। যা নিমেষে ভাইরাল হয়। প্রায় ১৮ হাজার মানুষ শেয়ার করেছেন মীরের ফেসবুক পোস্ট।
নবান্নের তরফে সেই সারকুলার জারি হওয়ার পরেই মীর ফেসবুকে পোস্ট করেছেন, ‘ভোট শেষ… এখন তো সব বন্ধ করবেই!’ বিদ্রুপে ভরা মীরের এই মন্তব্যের সঙ্গে একমত নেটাগরিকরাও। যেভাবে ভোটের প্রচার হয়েছে রাজ্যজুড়ে, ‘ভোট উৎসবে’ যেভাবে সামিল হয়েছিলেন দেশের নেতা থেকে শুরু করে কিছু রাজনীতি প্রিয় মানুষ, যেভাবে বিনা মাস্কে বাড়ি-বাড়ি গিয়ে ভোট চাইতে দেখা গিয়েছে তারকা প্রার্থীদের তা নিয়ে বিরক্ত অনেকেই। তারওপর দেশের বেহাল স্বাস্থ্য ব্যবস্থার কারণে হাসপাতালে বেড নেই, নেই করোনা চিকিৎসার প্রয়োজনীয় ওযুধ, নেই জীবনদায়ী অক্সিজেন!
শুক্রবার সন্ধে থেকে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের নির্দেশিকা মেনে রাজ্যে অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে সিনেমা হল, শপিং মল, বিউটি পার্লার, রেস্তরাঁ, বার, ক্রীড়াঙ্গন, জিম, স্পা এবং সাঁতার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। সকালে তিন ঘণ্টা (৭টা থেকে ৯টা) ও বিকেলে ২ ঘণ্টা (৩টে-৫টা) বাজার খোলা থাকবে। এর থেকে ছাড় দেওয়া হয়েছে অত্যাবশকীয় জিনিসপত্র, মুদিখানা ও ওষুধের দোকানকে। কিন্তু, ভোট মিটতেই কেন এই পদক্ষেপ? নিজের ফেসবুকের দেওয়ালে সরকারের কাছে সেই প্রশ্নই তুলেছেন কৌতূকাভিনেতা মীর!