দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক: অনেক আগে থেকেই ইমাম-মোয়াজ্জেমদের ভাতা দেওয়া হয়। যদিও সেই ভাতা দিত ওয়াকফ বোর্ড। সম্প্রতি পুরহিদদের ভাতা ও দেওয়ার ঘোষণা দেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্য সরকারের তরফ থেকেই সেই ভাতা দেওয়া হবে বলে জানা যায়। এর পরেই তীব্র সমালোচনা শুরু হয় রাজ্যজুড়ে। পুরহিদদের ঘর দেওয়া হলে ইমাম-মোয়াজ্জেমদের কেন দেওয়া হবে, এমনটা প্রশ্নও উঠে।
বৃহস্পতিবার নেতাজী ইন্ডোর স্টেডিয়ামে দুর্গাপুজো কমিটির সদস্যদের নিয়ে বৈঠকে অভাবী পুরহিদদের একাংশের হাতে ভাতার চেক ও বাড়ির জন্য অনুমতিপত্র তুলে দেন। সেখানেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, অভাবী ইমাম-মোয়াজ্জেমরা চাইলে পুরোহিতদের মতোই ঘর পেতে পারেন। এরজন্য তাঁদের ওয়াকফ বোর্ডে আবেদন করতে হবে। ওয়াকফ বোর্ড তাদের ঘর দেবে।
এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এই রাজ্যে আমরা হিন্দু-মুসলমান বিভাজন করি না। আমাদের কাছে সকলেই সমান। তাই শুধু হিন্দু পুরহিত নয়, শিখ- খ্রাষ্টান-জৈন-পারসিক যেই আমাদের কাছে সাহায্যের জন্য আবেদন করবেন, আমরা সবাইকে যতক্ষণ ক্ষমতা থাকবে সাহায্য করব। আমাদের কাছে কারও কোনও প্রভেদ নেই। সবাই সমান।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী করোনা কালে যেভাবে বাংলার মানুষ জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে লড়াই করেছেন তার প্রশংসা করতেই হবে। তিনি বলেন, করোনা অবহে দু’টো ঈদ সম্পন্ন হয়েছে রাজ্যে। রাজ্যের সংখ্যালঘু মানুষের সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে বাড়িয়েই ঈদ পালান করেছে। করোনার কারণে আমরা অনেক কিছুই করতে পারিনি। তাই সাবধনতা জরুরী। করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সকলের সহযোগিতা জরুরী। সকলে মিলে লড়াই করলে করোনার বিরুদ্ধে জয় সুনিশ্চিত।