দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা থেকে মুক্তির জন্য টিকাকরণে দেওয়া হচ্ছে বিশেষ জোর। কিন্তু কোভিশিল্ড টিকা নেওয়ার এক দিনের মধ্যে মৃত্যু হল এক ব্যক্তির। ঘটনায় ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য। ঘটনাটি ঘটেছে তামিলনাডুর মাদুরাইয়ে।
শনিবার তামিলনাড়ুর বাসিন্দা ২৯ বছর বয়সী ডি অ্যান্ড্রু সিমনকে গর্ভমেন্ট রাজাজী হাসপাতাল (GRH) নিয়ে যাওয়ার পথে মৃত্যু হয় তাঁর। সিমনের পরিবার জানায়, ৩ মাস আগেই বিয়ে করেন তিনি। শুক্রবার দুপুর ২টো নাগাদ ওই যুবক এবং তাঁর স্ত্রী সমায়নলুর ব্লকের একটি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে কোভিশিল্ডের প্রথম ডোজ নেন। তাঁর এক আত্মীয়র কথায়, ‘টিকা নেওয়ার পর রাতের দিকে তাঁদের গা-হাতপায়ে ব্যাথা শুরু হয়। সঙ্গেশুরু হয় শ্বাসকষ্ট। এরপর রাত ৮টা ৩০ মিনিট নাগাদ বাথরুমে জ্ঞান হারান তিনি।’
এরপর তাঁকে গর্ভমেন্ট রাজাজী হাসপাতাল নিয়ে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয় তাঁর। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে ‘অ্যাডভার্স ইভেন্ট ফলোয়িং ইম্যুনাইজেশন’এর কারণেই কী মৃত্যু এই যুবকের? প্রসঙ্গত, টিকা নেওয়ার পর অসুস্থ হওয়ার ঘটনাকে ‘অ্যাডভার্স ইভেন্ট ফলোয়িং ইম্যুনাইজেশন’ বা এআইএফআই বলা হয়।
এদিকে জেলার টিকাকরণের দায়িত্বে থাকা আধিকারিক ডা. কে ভি অর্জুন কুমার জানান, কোভিশিল্ডের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার জন্যই এই যুবকের মৃত্যু হয়েছে তা বলা যায় না। কারণ, টিকাকরণের পর বেশ কিছুক্ষণ তাঁকে হেলথ সেন্টারেই রাখা হয়েছিল। সেই সময় সম্পূর্ণ সুস্থ ছিলেন তিনি।
এই আধিকারিক আরও জানান, সিমন গত ৬ মাস ধরে ডায়াবেটিসে ভুগছিলেন। কিন্তু কোনও চিকিৎসা করাননি। এদিকে, ময়নাতদন্তে তেমন উল্লেখযোগ্য কিছু না মেলায় মৃতের ভিসেরা পরীক্ষার জন্য নমুনা ফরেন্সিক ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, পেশায় ইঞ্জিনিয়র সিমন ব্রিটেনে কর্মরত ছিলেন। অগাস্টের শেষে তিনি দেশে ফিরে আসেন। সেই সময় থেকে বাড়িতেই কাজ করছিলেন তিনি। স্বাস্থ্য দফতরের কর্মীরা জানাচ্ছেন ‘অ্যাডভার্স ইভেন্ট ফলোয়িং ইম্যুনাইজেশন’ বা এআইএফআই -কে তিনটি ভাগে ভাগ করা যায়, মৃদু, মাঝারি এবং তীব্র।