দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক: এখন দৈনিক সংক্রমণের হার কমেছে বাংলায়। আসতে আসতে বিধিনিষেধ উঠে ছন্দে ফিরছে জনজীবন। লোকাল ট্রেন চালু না হলেও মেট্রো রেল চালু হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার নবান্ন থেকে সাংবাদিক বৈঠক করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই জানালেন রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি আগের থেকে অনেকটা ভাল। তবে ভ্যাকসিন সরবরাহ সঠিকভাবে করা হচ্ছে না বলে তুলোধনা করলেন কেন্দ্রকে। তিনি জানান, ভ্যাকসিন পাচ্ছেন না জানিয়ে এদিন প্রধানমন্ত্রীকে ফের চিঠি পাঠিয়েছেন। রাজ্যের সব মানুষকে টিকা দিতে বদ্ধপরিকর সরকার। সেখানে পর্যাপ্ত পরিমাণ টিকা পাঠানো হচ্ছে না।
টিকা যদি রাজ্যের সবাইকে দেওয়া না যায় তাহলে তাঁদের জীবন বিপদের মধ্যে পড়তে পারে। বৃহস্পতিবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘করোনাভাইরাস পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। এখন দৈনিক সংক্রমণ ৮০০ থেকে ৯০০–র মধ্যে ঘোরাফেরা করছে। তবে আরও কমানোর চেষ্টা করছি। পজিটিভিটি রেট কমে দাঁড়িয়েছে ১.৫ শতাংশ। ৯৮ শতাংশ ডিসচার্জ রেট। ইতিমধ্যেই আড়াই কোটি মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। ১.৮ কোটি মানুষের দুটো ডোজই নেওয়া হয়ে গিয়েছে। রাজ্যে মোট ১৪ কোটি ভ্যাকসিন প্রয়োজন। আমরা ভ্যাকসিন পাচ্ছি না। আজ পর্যন্ত পেয়েছি মাত্র ২.১২ কোটি। নিজেরা ৬০ কোটি টাকা খরচ করে ১৮ লক্ষ টিকা কিনেছি। এখন আমাদের কাছে টিকাই আসছে না।’
আবার তৃতীয় ঢেউ আসার কথা বলা হচ্ছে। সেখানে প্রত্যেক মানুষের ভ্যাকসিন প্রাপ্য বলে মনে করেন মুখ্যমন্ত্রী। তাই এদিন তিনি বলেন, ‘ভ্যাকসিনেশনের কাজ সব থেকে ভাল হয়েছে বাংলায়। কিন্তু আমরাই টিকা পাচ্ছি না। বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিকে বেশি করে ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকার বাংলাকে ত্রাণের টাকা দেবে না, প্রাপ্য টাকা দেবে না, ভ্যাকসিন দেবে না, এটা তো অন্যায়। পরিকল্পনা করে বাংলার নামে বদনাম করা হচ্ছে। আমি আজও প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছি ভ্যাকসিনের জন্য। হয়তো উত্তর পাব না। কিন্তু আমার দায়িত্ব জানানো, তাই চিঠি লিখে জানালাম।