দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক : বাংলায় একটা প্রবাদ আছে, ‘এলোমেলো করে দে মা লুটেপুটে খাই।’ এর অর্থ হল, যখনই কোনও দুর্যোগ আসে, একদল লোক তা থেকে ফয়দা তোলে। ঘুর্ণিঝড় আমফানের ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম হয়নি।
আমফান ধাক্কা দেওয়ার পরে কেটে গিয়েছে দু’মাসের বেশি। কিন্তু রোজই দক্ষিণবঙ্গের নানা জায়গা থেকে উঠছে দুর্নীতির অভিযোগ। করোনা অতিমহামারীর মধ্যেও রোজ খবরের শিরোনামে উঠে আসছে ত্রাণ নিয়ে দুর্নীতি।
আমফানে যাঁরা ঘরবাড়ি হারিয়েছেন, তাঁদের ত্রাণের জন্য কোটি কোটি টাকা এলেও তাঁদের ভাগ্যে জোটেনি কিছু। এদিকে গ্রামে যে নেতারা দোতলা বাড়ি হাঁকিয়েছেন, তাঁদের পকেটে ঢুকেছে লক্ষ লক্ষ টাকা।
শুধু টাকা নয়, গরিবদের জন্য পাঠানো খাদ্যসামগ্রীও চুরির কথা শোনা যাচ্ছে। পরিযায়ী শ্রমিকদের চাল-ডাল দেওয়ার জন্য সরকার থেকে যে কুপন দেওয়া হচ্ছে, অভিযোগ উঠেছে তাও ঘুরপথে চলে যাচ্ছে অনেক নেতার পকেটে।
আমাদের রাজ্যের মানুষ জানে, রিলিফের টাকা একটু-আধটু চুরি হয়ই। সব আমলেই হয়। অতীতে কংগ্রেসের আমলে হত। বামফ্রন্ট আমলেও হয়েছে। কিন্তু এখন একাংশ নেতা যেমন বেপরোয়া হয়ে চুরি করছেন, তা আগে কখনও দেখা যায়নি।
কেন নেতারা এমন বেপরোয়া হয়ে উঠলেন? তাঁরা কি আশঙ্কা করছেন, আগামী ভোটের পর ক্ষমতায় নাও থাকতে পারেন? তাই আগেভাগে যত পারেন গুছিয়ে নিচ্ছেন? প্রশ্ন উত্তরের পর্ব দেদার চলবে, তবে শেষকথা বলবে সময়ই।
আরও খবরাখবর পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রূপে