Thursday, March 13, 2025
Latest Newsফিচার নিউজরাজ্য

মতুয়ারা কি স্রেফ আশ্বাসেই বুক বাঁধবে, নাকি ইভিএম খুললে মাথায় হাত পড়বে বিজেপির?

দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক: শুধু আশ্বাসে কি ভোটবাক্স ভরবে, নাকি এবার ইভিএম খুললে মাথায় হাত পড়বে বিজেপির? উত্তর ২৪ পরগনার ঠাকুরনগরে মতুয়া সম্প্রদায় কোন দিকে ঢলবে, তার উপর নির্ভর করছে অনেক বিধানসভা আসনের ভবিষ্যৎ। শান্তনু ঠাকুর এতদিন বিজেপিতে বেসুরো বাজছিলেন এই ভোটব্যাঙ্কের জন্য। তাঁকে বৈঠকে যে পাঠ দেওয়া হল, তা কি বিজেপি পালে ফের হাওয়া বইয়ে দিতে সক্ষম হবে?

শান্তনু ঠাকুর মতুয়াদের নাগরিকত্বের লোভ দেখিয়ে ভোট নিয়েছিলেন। নাগরিকত্ব নিয়ে গাল ভরা অনেক আশ্বাস দিয়েছিল বিজেপি। কিন্তু ২০১৯ এর মে থেকে ২০২০-র ডিসেম্বর পর্যন্ত ১ বছর ৭ মাসে বিজেপি তা লাগু করতে পারেনি। আর মতুয়ারাও নাগরিকত্বের সার্টিফিকেট পাননি। ফলে মতুয়াদের কোনও প্রশ্নের জবাব ছিল না মতুয়া সংঘাধিপতি শান্তনু ঠাকুরের কাছে।

সেই কারণেই ২০২১-এর ভোটের আগে তিনি বেঁকে বসেন। বাংলায় এসে এ ব্যাপারে কোনও সুনির্দিষ্ট বার্তা না দেওয়ায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সমালোচনা করতেও কসুর করেননি শান্তনু ঠাকুর। শেষে অমিত বার্তা এসেছে এবং বঙ্গ বিজেপি নেতারা শান্তনুকে বোঝাতে সমর্থ হয়েছে, বিজেপিই আইন প্রণয়ণ করেছে, বিজেপিই তা লাগু করবে। অমিত শাহ জানুয়ারি মাসে ঠাকুরনগরে গিয়ে মতুয়াদের উদ্দেশ্যে বার্তা দেবেন।

এখন দেখার ২০১৯-এ আশ্বাসের পর ভোট দিয়েছেন মতুয়ারা। ২০২১-এও কি স্রেফ সেই আশ্বাসে ভর করে ভোট দেবে, নাকি মতুয়া ভোটব্যাঙ্ক আবার টার্ন নেবে তৃণমূলের দিকে? রাজনৈতিক মহল একাংশ মনে করছে, বিজেপি এবার বড় পরীক্ষার মুখ পড়েছে। মতুয়ারা কিন্তু স্রেফ কথার উপর ভিত্তি করে আবারও ভোটবাক্স ভরাবেন, তা ভাবা ভুল।

সংঘাধিপতি বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুরকে বুঝিয়েছে বিজেপি। অমিত শাহের আশ্বাসে শান্ত হয়েছেন তিনি। কিন্তু তিনি মতুয়াদের কতটা বোঝাতে পারবেন, তার উপর নির্ভর করবে বিজেপির ভাগ্য। বিজেপি নাগরিকত্ব দিতে পারলে তো তাঁদের পক্ষে যেত পুরোটাই। না পারলে শুধু আশ্বাসে হবে না। তৃণমূলের কামব্যাকের সম্ভাবনাই থেকে যাবে।

প্রাক্তন সাংসদ মমতাবালা ঠাকুরের নেতৃত্বে ঠাকুরনগরের একাংশ তৃণমূলের দিকে রয়েছে। তারপর তৃণমূলের কথা হল, মতুয়ারা সবাই নাগরিক। তাহলে নাগরিকদের আবার নাগরিকত্ব প্রদান কী করে সম্ভব। বিজেপি পুরোটাই ভাঁওতা দিচ্ছে। শুধু একটা কাগজে সই করিয়ে নাগরিকদের বে-নাগরিক করে ছাড়ছে। নাগরিকত্বর আবেদন করিয়ে প্রমাণ করতে চাইছে তাঁরা নাগরিক নয়। কিন্তু ভোটার কার্ড, রেশন কার্ড, থেকে শুরু করে সব তাঁদের আছে, তাঁরা এতবছর ভোট দিচ্ছে। আবার ভোটপ্রার্থীও হচ্ছে। বিজেপির নাগরিকত্ব প্রদানের বিষয়টি ভাঁওতাবাজি বলে নস্যাৎ করতে চাইছে তৃণমূল।

Leave a Reply

error: Content is protected !!