Friday, March 14, 2025
Latest Newsদেশফিচার নিউজ

তীব্র বর্ণবিদ্বেষ! তামিলনাড়ুতে দলিত হওয়ায় বৈঠকে নির্বাচিত পঞ্চায়েত নেত্রীকে বসানো হল মাটিতে

দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক: সেই আদি যুগ থেকে বর্ণবিদ্বেষের শিকার দলিত, আদিবাসী, তফসিলি সম্প্রদায়রা। যুগে যুগে উচ্চ শ্রেণীর মানুষেরা তথা ব্রাহ্মণ্যবাদীরা দমন, পীড়ন, শোষণ করে এসেছে দলিত, আদিবাসীদের। দেশবাসী জানে, খোদ দেশের সংবিধান প্রণেতা বি আর আম্বেদকরও বর্ণবিদ্বেষের শিকার হয়েছিলেন। যুগ পাল্টেছে, কিন্তু সেই বর্ণবিদ্বেষের ছবি পাল্টায়নি। বরং পরবর্তীতে সেই ছবি ধীরে ধীরে আরও প্রকট হয়ে উঠেছে। বর্তমানেও যে তা অব্যাহত তার আরও একবার প্রমাণ পাওয়া গেল তামিলনাড়ুতে। দলিত  হওয়ায় এক নির্বাচিত পঞ্চায়েত নেত্রীকে বৈঠকে বসতে দেওয়া হল না চেয়ার। তীব্র বর্ণবিদ্বেষী ঘটনাটি ঘটেছে তামিলনাড়ুর কাড্ডালোরে।

জানা গেছে, কাড্ডালোরের থেরকু থিট্টাই গ্রাম পঞ্চায়েতের সভানেত্রী ওই মহিলা আদি দ্রাবিড় সম্প্রদায়ভুক্ত। এই সম্প্রদায়টি তফসিলি জাতিভুক্ত। গতবছর সংরক্ষিত আসনে পঞ্চায়েত ভোটে জিতেছিলেন তিনি। যে বৈঠককে কেন্দ্র করে এই ঘটনা, পঞ্চায়েত সভানেত্রী হওয়ায় সেই বৈঠকের নেতৃত্ব দেওয়ার কথাও ছিল ওই নেত্রীর। কিন্তু বসার জন্য চেয়ার তো দূর অস্ত, বৈঠকের নেতৃত্বও করতে দেওয়া হয়নি মহিলাকে। পরে তিনি অভিযোগ করেন, ‘‌আমার জাতের জন্যই সহ সভাপতি আমায় বৈঠকে নেতৃত্ব দিতে দেননি। পতাকাও উত্তোলন করতে দেননি। ওনার বাবাকে দিয়ে করিয়েছেন। যদিও আমি এই এত মাস ধরে উচ্চবর্ণের সঙ্গে সহযোগিতা করে আসছি, এবার সহয়ের সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে।’‌

ওই ঘটনার ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই পের বর্ণ বৈষম্যের ক্ষোভ ছড়িয়েছে দেশে। বিক্ষোভ বাড়তেই নড়েচড়ে বসে কাড্ডালোরের জেলা প্রশাসন। জেলাশাসক চন্দ্রশেখর শাখামুরি ইতিমধ্যেই পঞ্চায়েত সচিবকে বৈষম্যের বিষয়ে প্রশাসনকে না জানানোর জন্য সাসপেন্ড করেছেন এবং ঘটনায় তদন্তের আদেশ দিয়েছেন।

 

Leave a Reply

error: Content is protected !!