দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক : মঙ্গলবার বাদল অধিবেশনের দিন বিরোধীদের প্রশ্ন জবাবে কেন্দ্রের শ্রম মন্ত্রক জানিয়ে ছিল যে, লকডাউনে কতজন পরিযায়ী শ্রমিক মারা গেছে তার হিসাব রাখা হয়নি, তাই ক্ষতিপূরণের প্রশ্নই উঠে না। কেন্দ্রের সরকার যে কতটা উদাসীন তা আরও একবার প্রমাণ হল। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী অশ্বিনী কুমার এক প্রশ্নের জবাবে জানান, করোনা মহামারিতে এখনও পর্যন্ত কতজন স্বাস্থ্যকর্মী মারা গেছেন সে সম্পর্কিত কোনও তথ্য কেন্দ্র সরকারের কাছে নেই। স্বাস্থ্যকর্মীদের কেন্দ্র সরকারের এমন চরম উদাসীনতায় অন্তত ক্ষুব্ধ হয়ে অশ্বিনী কুমারের মন্তব্যের কড়া প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে চিকিৎসকদের সংগঠন ইণ্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (আইএমএ)।
বক্তব্যের সাফাই হিসেবে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী যুক্তি দেন, হাসপাতালগুলো রাজ্য সরকারের অধীনে। চিকিৎসকদের সংগঠন ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন চিঠিতে কেন্দ্রকে তোপ দেগে বলে, ভারতের মতো বিশ্বে আর কোথাও এত চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীর মৃত্যু হয়নি। কোভিড মোকাবিলায় কতজন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের আত্মত্যাগের খোঁজ রাখে না সরকার। সরকার এ বিষয়ে সম্পূর্ণ উদাসীন। কেন্দ্র সরকার এমন ভান করছে, যেন এই তথ্যটি জাতির দৃষ্টি আকর্ষণে গুরুত্ব রাখে না।
কেন্দ্রের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে চিঠিতে আরও বলা হয়, সরকার যদি এই পরিসংখ্যান রাখতে না পারে, তা হলে সরকার মহামারি আইন ১৮৯৭ এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আইন পরিচালনার নৈতিক কর্তৃত্ব হারাবে। চিঠিতে সরকারকে ভণ্ড বলা হয়। সরকার চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের যোদ্ধা বললেও, তাদের মৃত্যু হলে, তাদের পরিবারের প্রতি সরকার কোনও দায়িত্ব পালন করছে না। সংগঠনটির তরফ থেকে করোনায় মৃত চিকিৎসকদের নামের তালিকা প্রকাশ করা হয়, এই পর্যন্ত ৩৮২ জন চিকিৎসক মারা গেছেন। মৃত চিকিৎসকদের পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর জন্য সরকারের কাছে আর্জি জানিয়েছে সংগঠনটি। সংগঠনটির তরফ থেকে এক প্রেস নোটে বলা হয়, করোনায় মৃত পরিবার সরকারের কাছ থেকে অন্তত সান্ত্বনা ও সমবেদনার দাবি রাখে, চিকিৎসক ছাড়াও নার্স ও বিভিন্ন স্বাস্থ্যকর্মী মারা গেছেন, তাদেরও একটি নামের তালিকা করার অনুরোধ করা হয়েছে সরকারকে।