Friday, March 14, 2025
Latest Newsআন্তর্জাতিকফিচার নিউজ

কিডনি বেচে আইফোন কিনে গুরুতর অসুস্থ চিনের যুবক

দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক: আইফোন কেনার প্রচণ্ড শখ। কিন্তু টাকাতে কুলিয়ে উঠতে পারছিলেন না। তাই নিজের একটা কিডনি বিক্রি করে কিনেছিলাম আইফোন। কিন্তু তার কিছুদিন যেতেই গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন চিনের ওই যুবক। জানা গেছে ওই যুবকের নাম ওয়াং সাংকুন। তার বয়স এখন ২৫। কিন্তু শয্যাশায়ী। নিয়মিত ডায়ালিসিস লাগে তাঁর।

বরাবর ’অ্যাপল‘ প্রেমী। অ্যাপলের টেক প্রোডাক্ট দেখলেই কেনার জন্য মন ছটফট করত চিনের আনহুই প্রদেশের বাসিন্দা ওয়াং সাংকুনের। কিন্তু সাধ আর সাধ্যে ছিল বিস্তর ফারাক। তা মেটাতেই নিজের কিডনি বেচে আইফোন কিনেছিলেন সাংকুন। এখন শয্যাশায়ী।

২০১১ সাল। ওয়াং সাংকুনের বয়স তখন ১৭। কিশোর সাংকুন আই প্যাড ২ এবং আইফোন ফোর কিনে ফেললেন নিজের একটি কিডনির বিনিময়ে। তখন সাংকুনের মনে হয়েছিল কিডনির চেয়ে অ্যাপলের ওই দুটি প্রোডাক্ট তাঁর কাছে থাকা অনেক বেশি দামী। সাংকুনের কথায়, ’’দুটি কিডনি দিয়ে কী হবে, একটি যথেষ্ট‘‘ ।  যেমন ভাবা তেমন কাজ। কিডনি কেনাবেচার চক্রের একটি বিজ্ঞাপন দেখেই তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন ওয়াং। বেচে দিয়েছিলেন একটি কিডনি। অস্ত্রোপচারের স্বাস্থ্যসম্মত বিধি না মেনেই হুনান প্রদেশের একটি জায়গায় অস্ত্রোপচার করান তিনি। ডান-কিডনি বিক্রির টাকায় ঘরে নিয়ে আসেন আই প্যাড ২ এবং আইফোন ফোর। কিন্তু কিশোর মন তখন বুঝতেও পারেনি নিজের কী মারাত্মক ক্ষতি করল। এই অস্ত্রোপচারের কয়েক দিনের মধ্যে আরেকটি কিডনিতে সংক্রমণ ধরা পড়ে তাঁর। স্বাস্থ্য বিধি না মেনে, যথেষ্ট সতর্কতা না নেওয়ার ফলে আরেকটি কিডনিতে সংক্রমণ হয়ে গিয়েছিল বলে জানিয়েলেন চিকিৎসকরা। এমনকি অস্ত্রোপচারের পরে প্রয়োজনীয় বিশ্র্রাম, খাওয়াদাওয়ার মতো বিষয়গুলি অর্থাৎ পোশাকি ভাষায় যাকে পোস্ট অপারেটিভ কেয়ার বলা হয়, তাতেও ঘাটতি ছিল। এসবের ফলে রেচনতন্ত্রে সমস্যা দেখা দেয়।

 

Leave a Reply

error: Content is protected !!