দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক: সম্প্রতি জানা গিয়েছে মহারাষ্ট্রের থানের স্থানীয় একটি আদালত ২৮ জন তবলীগীদের নিষ্পত্তি দিয়েছে, যাদের মধ্যে ২১ জন বিদেশি। ধীরে ধীরে আদালত গুলি নরম সুরে তাবলিগ মামলার নিষ্পত্তি করতে শুরু করেছে। আর তাতেই দেশে ফেরার স্বপ্ন দেখছেন আমিনা, রিয়াজরা।
বম্বে হাইকোর্ট রীতিমতো কড়া ভাষায় জানিয়ে দিয়েছিল, তবলিগিদের ‘বলির পাঁঠা’ করা হয়েছে। উচ্চ আদালতে এই মন্তব্যের পর কিছুটা সুর বদলাতে শুরু করেছে নিম্ন আদালত গুলি। এই সব আদালতে তবলীগীদের বিরুদ্ধে যে সব অভিযোগ ছিল তা ধীরে ধীরে তুলতে শুরু করেছে নিম্ন আদালত গুলো। তাই ঘরে ফেরার স্বপ্ন দেখছে আমিনা, রিয়াজরা।
গত ১১ দিন ধরে বাইকুল্লার মহিলা সেলে বন্দি ছিলেন ২৭ বছরের আমিনা। ইন্দোনেশিয়ার বাসিন্দা তাঁর স্বামী রিজাল আরদিয়ানশিয়ার সঙ্গে ২৯ ফেব্রুয়ারিতে ভারতে এসেছিলেন নিজামুদ্দিন মার্কাজে অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য। লকডাউনে এবং তবলীগীদের জামাতের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগে এক শ্রেণীর মিডিয়া বিদ্বেষ ছড়াতে আরম্ভ করে। যার ফলে বিভিন্ন জায়গা মুসলিমদের হেনস্থা করা হয়েছে। করোনা অজুহাতে পিটিয়ে মারা, সবজি বিক্রেতাকে হেনস্থা করা ইত্যাদি দেখা গিয়েছে। নিজামুদ্দিন মার্কাজের ৩, ৫০০ বিদেশি তবলিগিদের জেলে ঠাঁয় হয়।
ইন্দোনেশিয়া থেকে আসা আর এক তবলীগী বলেন, তিনি নিয়মিত ভারতে আসেন এই নিয়ে ৫ বার এসেছেন। নাম মুহাম্মদ রিয়াজ। তিনি বলেন, এই প্রথমবার এই পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হয়েছে ভারতে এসে। তবে উচ্চ আদালতে মন্তব্যের পর, নিম্ন আদালত গুলো মামলা তুলে নিতে শুরু করলে, ঘরে ফেরার স্বপ্ন দেখছেন বিদেশি তবলীগীরা।