দৈনিক সমাচার, দেরাদুন: উত্তরাখণ্ডের রুদ্রপ্রয়াগ জেলায় দিকে দিকে মুসলিম বিদ্বেষী বোর্ড লাগিয়ে রাজ্যের মুসলিম সমাজকে কোণঠাসা করতে উঠেপড়ে লেগেছে হিন্দুত্ববাদীরা। বোর্ডগুলিতে লিখে দেওয়া হয়েছে, ‘গ্রামে অহিন্দু/রোহিঙ্গা মুসলিম ও ফেরিওয়ালাদের ব্যবসা করা/ঘোরা নিষিদ্ধ।’ বোর্ডের এই লেখাকে প্রকাশ্যে আসতেই মুসলিম সমাজের প্রতিনিধিরা উত্তরাখণ্ড পুলিশের ডিজি অভিনব কুমারের সঙ্গে দেখা করে আপত্তি জানান।
পুলিশ প্ৰশাসনের দাবি, বোর্ডগুলোর বিষয়ে তারা জানতে পারার সঙ্গে সঙ্গে সেগুলো সরিয়ে ফেলা হয়েছে। একই সঙ্গে এই ঘটনায় যুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপও নেওয়া হবে বলে আশ্বাস দিয়েছে প্রশাসন। সম্প্রতি রুদ্রপ্রয়াগের পার্শ্ববর্তী চামোলি জেলায় এক নাবালিকাকে শ্লীলতাহানি করার অভিযোগ ওঠে। অভিযুক্ত একজন মুসলিম যুবক। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সেখানে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
রুদ্রপ্রয়াগের বাসিন্দা অশোক সেমওয়াল। তিনি রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) সঙ্গে যুক্ত। তার দাবি, ‘সচেতনতা ছড়িয়ে’ দেওয়ার উদ্দেশ্যে এই বোর্ডগুলো লাগানো হয়েছে। তার কথায়, “কয়েকটা গ্রামের প্রধান এবং কিছু সংগঠনের তরফে সচেতনতা বাড়ানোর জন্য এই বোর্ডগুলো লাগানো হয়েছে। বিষয়টার সূত্রপাত কেদার ঘাঁটি থেকে, তারপর সবাই এই বোর্ড লাগিয়েছে।”