দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক: হরিয়ানার এক প্রাক্তন বিধায়ক-সহ ৮ জনকে খুন করেছিলেন। তারপর গুজরাতে গুজরাটের আম্রেলির রাজুলার এক আশ্রমে গিয়ে স্বঘোষিত বাবা হয়ে ভক্তদের প্রণাম-ভালোবাসা নিয়ে দিন কাটাচ্ছেন। কিন্তু পুলিশের সন্দেহ হয় তার প্রতি। পালিয়ে এই আশ্রমে আসার পর থেকে প্রতি বছর ক্রুশি সম্মেলনের আয়োজক হয়ে উঠেছিল মোস্ট ওয়ান্টেড অপরাধী। এ বছরও ফেব্রুয়ারিতে সেই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছিল। আমন্ত্রণ পাঠানো হয়েছে গুজরাটের রাজ্যপালকেও। হরিয়ানা পুলিশের সন্দেহ ছিল বহুদিন ধরেই গুজরাটে লুকিয়ে ছিল সঞ্জীব। বিভিন্ন এলাকায় কিছুদিন আগদেই ছবি দেখিয়ে তার খোঁজ চালানো হয়েছিল।
গুজরাটের আম্রেলির রাজুলা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মেরঠের পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে। ধৃত ব্যক্তি ও তার স্ত্রী মিলে একটি পরিবারের আটজনকে খুন করেছে। তাদের দু’জনের বিরুদ্ধেই মৃত্যুদণ্ডের সাজা শোনানো হয়েছিল আগেই। প্যারোলে মুক্তি পাওয়ার পর থেকেই পালিয়ে বেড়াচ্ছিল তারা। পরে মোস্ট ওয়ান্টেড হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছিল। অবশেষে তারা পুলিশের জালে।
সঞ্জীব কুমার নামে ওই অপরাধী ২০১৮ সালে প্যারোলে মুক্তি পেয়ে গুজরাটের রাজুলার ছাতাদিয়া গ্রামের আনন্দ যোগ আশ্রমে চলে আসে। সেখানে একজন সাধুর বেশ নিয়ে দারুণ দিন কাটাচ্ছিল সে। ভক্তরা তাকে একজন সন্ন্যাসী হিসেবে পুজো করতেও শুরু করেছিলেন। নিজের নাম সঞ্জীব থেকে পালটে আনন্দগিরি করে ফেলেছিল সে। খাদেশ্বরী বাপুর তৈরি এই আশ্রমে একজন পুরোহিত হিসেবেও কাজ করছিল সে। লোকজন তাকে সাধু-সন্ন্যাসী হিসেবে মেনে নিয়েছিলেন।
সঞ্জীব ও তার স্ত্রী সোনিয়া মিলে সোনিয়ার বাবা বারওয়ালার বিধায়ক রেলু রাম পুনিয়াকে খুন করেছে। ২০০১ সালে বারওয়ালাতেই শ্বশুর-সহ পরিবারের আরও সাতজনকে খুন করেছিল তারা। ২০০৪ সালে তাদের মৃত্যুদণ্ডের সাজা ঘোষণা করেছিল আদালত। পরে সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। ২০ বছরের পুরনো এই আশ্রমে গ্রামের বহু মানুষ দীক্ষা নিতে আসেন। এই আশ্রমের উপর খুবই ভক্তি রয়েছে গ্রামবাসীদের।