দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক: দিল্লির কৃষক বিক্ষোভে যোগ দিতে যাওয়ার পথে গণধর্ষণ করা হয়েছে বাঙালি সমাজকর্মীকে। পরে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় তাঁর। এমনই অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে হরিয়ানার বাহাদুরগড় থানায়। চারজন অভিযুক্তর বিরুদ্ধে এফআইআর করেছেন তরুণীর বাবা। যার মধ্যে কিষাণ সোশ্যাল আর্মির দুই সদস্য অনুপ এবং অনিল মালিকের নাম রয়েছে।
অভিযোগ, টিকরি সীমান্তে কৃষকদের বিক্ষোভে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন ২৬ বছরের তরুণী। তাঁর সঙ্গেই ছিলেন চার অভিযুক্ত। সীমান্তের ঠিক আগেই তরুণীকে গণধর্ষণ করা হয়। তাঁর কিছুদিন পরই বাঙালি সমাজকর্মীর জ্বর আসে। করোনা পরীক্ষা করা হলে রিপোর্ট পজিটিভ আসে। দিল্লির শিবম হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছিল তরুণীকে। কিন্তু বাঁচানো সম্ভব হয়নি। ৩০ এপ্রিল সেখানেই মৃত্যু হয় তরুণীর। তার বেশ কিছুদিন পরে বাহাদুরগড় থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তরুণীর বাবা। সোমবার সংবাদসংস্থা এএনআই মারফত খবরটি প্রকাশ্যে আসে।
জানা গিয়েছে, বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স গঠন করেছে হরিয়ানা পুলিশ। যাঁর নেতৃত্ব দিচ্ছেন খোদ ডিএসপি। বিষয়টি উপযুক্ত তদন্তের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত কারও গ্রেপ্তারির খবর মেলেনি। সংযুক্ত কিষান মোর্চার পক্ষ থেকে ঘটনার তীব্র নিন্দা করা হয়েছে। প্রয়াত সমাজকর্মীর পাশে তাঁরা রয়েছেন বলেও জানানো হয়েছে। ইতিমধ্যেই মোর্চার টিকরি কমিটির পক্ষ থেকে সেখানকার বিক্ষোভস্থলে থাকা কিষাণ সোশ্যাল আর্মির সমস্ত পতাকা, তাঁবু, প্ল্যাকার্ড খুলে ফেলা হয়েছে। অভিযুক্তদের বিক্ষোভস্থলে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বিচারের দাবিতে এতদিন ধরে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন কৃষকরা। সেখানে এই ধরনের ঘটনা একেবারেই বরদাস্ত করা হবে না বলেও জানানো হয়েছে। পাশাপাশি অভিযুক্তদের দোষ প্রমাণিত হলে কড়া শাস্তির আরজি করা হয়েছে।