দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক: হাওয়াই চটিতেই শায়েস্তা হবে বিজেপি। বিজেপির সন্ত্রাসকে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সিপিএমের ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসের সঙ্গে মোকাবিলা করে মহাকরণ দখল করেছিলেন। এবার বিজেপির সন্ত্রাসকেও তুড়ি মেরে উড়িয়ে দেবেন। নবান্নে তিনিই রাজ করবেন। তৃতীয় দফা ভোটের শেষেই নিশ্চিত জয়ের দাবিতে একথা জানালেন দেবাংশু।
তৃণমূল মুখপাত্র দেবাংশু ভট্টাচার্যের কথায়, গত দুই দফা ভোট বিজেপির বলয়ে হয়েছিল, সেখানেও আমরা জিতছি। আর এবার আমাদের গড়ে নির্বাচন হল। এই ৩১ কেন্দ্রেই ৯০ শতাংশ ভোট পাব আমরা। আমরাই জিতব একুশে নির্বাচন। সেই লক্ষ্যে আমরা অনেকদূর এগিয়ে গিয়েছি। তিন দফা ভোটের পর আমরা লক্ষ্যের অনেক কাছাকাছি।
এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বাংলায় লেখা মোদীর পাঠানো চিঠি নিয়েও মন্তব্য করেন দেবাংশু। হাওড়ার সভা থেকে তিনি যে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেন, তার পরিপ্রেক্ষিতে দেবাংশু বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বরাবরই রাজনৈতিক সৌজন্য মেনে চলেন। মোদীর চিঠির প্রত্যুত্তরে গুজরাটিতে লেখা চিঠি সেই সৌজন্যেরই পরিচায়ক।
দেবাংশু বলেন, এক মহিলাকে ধর্ষণের প্রতিবাদে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মহাকরণের সামনে প্রতিবাদ করেছিলেন। চুলের মুঠি ধরে তাঁকে সেখান থেকে বের করে দেওয়া হয়েছিল। তারপর মুখ্যমন্ত্রী হয়ে বামেদের নবান্নে ডেকে চপ-কাটলেট খাইয়েছিলেন তিনি। বাবুল সুপ্রিয়কে গাড়িতে বসিয়ে ঝালমুড়ি খাইয়েছিলেন। শুধু সৌজন্যই নয় মানবিক মুখও প্রকাশ পেয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের
দেবাংশু বলেন, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য অসুস্থ হওয়ার পর তাঁকে প্রথম দেখতে গিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই। তাঁর চিকিৎসার দায়িত্ব নিতে চেয়েছেন। সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়ের ক্ষেত্রেও তিনি সেই মানবিকতা দেখিয়েছিলেন। রাজনৈতিক মতপার্থক্যকে ধর্তব্যের মধ্যে আনেননি। ব্যক্তিগত সম্পর্ককেই গুরুত্ব দিয়েছেন তিনি। মোদীজিকে ধন্যবাদ তিনি সেই সৌজন্যের কথা স্বীকার করেছেন।
বাংলা তাঁর নিজের মেয়েকেই চায় এই ট্যাগলাইনের কথা উল্লেখ করে দেবাংশু আরও বলেন, নন্দীগ্রামে শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে কী রকম সন্ত্রাস চালানো হয়েছে তা বাংলার মানুষ দেখেছে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভস দখিয়ে ভোট দিতে বারণ করা হয়েছে। বাংলার মেয়েরা কেঁদেছেন। তবু আমাদের নেত্রীর ভয় পাননি। তিনি জয় পাবেনই। সিপিএমকে ভয় পাননি, বিজেপির সন্ত্রাসকেও না।