দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক : নবম শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণির সিলেবাসে কিছু কাটছাঁট করার কথা বলেছিল কেন্দ্রীয় বোর্ড সিবিএসই। আজ, বুধবার নতুন সিলেবাস ঘোষণার পর দেখা গেল গণতান্ত্রিক অধিকার, ভারতে খাদ্য নিরাপত্তা, যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো, নাগরিকত্ব এবং ধর্মনিরপেক্ষতার মতো অধ্যায় ছেঁটে ফেলা হয়েছে। কোভিড পরিস্থিতির কারণে ছাত্রছাত্রীদের যে নজিরবিহীন পরিস্থিতির সামনে পড়তে হয়েছে সে কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে সিবিএসই।
একাদশ শ্রেণির রাষ্ট্রবিজ্ঞান থেকে পুরোপুরি বাদ গিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো, নাগরিকত্ব, জাতীয়তাবাদ এবং ধর্মনিরপেক্ষতা। স্থানীয় প্রশাসন সংক্রান্ত অধ্যায় থেকে দুটি অংশ বাদ দেওয়া হয়েছে। সেগুলি হল, ‘কেন স্থানীয় প্রশাসনের দরকার?’ আর ‘ভারতে স্থানীয় প্রশাসনের অগ্রগতি।’ দ্বাদশ শ্রেণির রাষ্ট্রবিজ্ঞান থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে ‘সমসাময়িক বিশ্বে নিরাপত্তা’, ‘পরিবেশ এবং প্রাকৃতিক সম্পদ’ ও ‘ভারতের সামাজিক ও নয়া সামাজিক আন্দোলন।’
অর্থনীতি থেকেও বাদ দেওয়া হয়েছে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। ‘পরিকল্পনা উন্নয়ন’, ‘ভারতীয় অর্থনীতির উন্নয়নের ধারা বদল’-এর পাশাপাশি বাংলাদেশ, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, নেপাল, মায়ানমারের মতো প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্গে ভারতের বৈদেশিক সম্পর্কও বাদ পড়েছে করোনার তাড়নায়। একই সঙ্গে ছেঁটে ফেলা হয়েছে ‘গণতন্ত্র ও বৈচিত্র্য’, ‘জাত-ধর্ম-লিঙ্গ’ শীর্ষক অধ্যায়টি।
সিবিএসই-এর এই সিদ্ধান্ত নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। সমালোচকদের অনেকের মতে, এটা একেবারে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। যেগুলি বিজেপি তথা সঙ্ঘ পরিবারকে মতাদর্শগত ভাবে চ্যালেঞ্জ করে ঠিক সেই সেই অধ্যায়গুলিতেই কাঁচি চালানো হয়েছে। অটলবিহারী বাজপেয়ী জমানায় যখন মুরলী মনোহর যোশী মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী, তখন অভিযোগ উঠেছিল শিক্ষায় গৈরিকীকরণ চলছে। তারপর ২০০৪ সালে প্রথম ইউপিএ সরকার তৈরি হওয়ার পর মানবস্পম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের দায়িত্ব পেয়ে অর্জুন সিং বলেছিলেন, “আগে শিক্ষা ব্যবস্থাকে সাফাই করা হবে।”