দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক : মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডে ঋণ না পেয়ে আত্মঘাতী হলেন চন্দ্রকোণা শহরের ভেরবাজারের এক আদিবাসী ছাত্রী। নিহতের নাম তিথি দলুই। ভেরবাজারের বাসিন্দা জয়দেব দলুইয়ের মেয়ে তিথি। হাসপাতালে ১৭ দিন লড়াইয়ের পর মৃত্যু হয়েছে তাঁর।
গত বছর বেঙ্গালুরুর একটি সংস্থায় নার্সিং পড়তে গিয়েছিলেন তিথি। পড়ার মোট খরচ ছিল ৩ লক্ষ টাকা। স্থানীয়দের সহযোগিতায় ১ লক্ষ টাকা দিয়ে ভর্তি হয়ে বাকি টাকার জন্য স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের অধীনে ঋণের জন্য আবেদন করেন তিনি। পরিকল্পনা ছিল ঋণ নিয়ে কোর্সের বাকি টাকা শোধ করে পরীক্ষায় বসবেন। সেজন্য জমা দেন সমস্ত নথি। কিন্তু ব্যাঙ্ক ঋণ দিতে অস্বীকার করে। আরও বেশ কয়েকটি ব্যাঙ্কে ঋণের জন্য চেষ্টা করে তিথির পরিবার। কিন্তু লাভ হয়নি।
পয়সার জন্য মাঝপথে পড়া বন্ধ হয়ে যাওয়ায় হতাশায় ভুগতে শুরু করেন তিথি। গত ১৪ অগাস্ট বাড়িতেই কীটনাশক পান করেন তিনি। তাঁকে চন্দ্রকোণা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে ১৫ অগাস্ট মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয় তাঁকে। সেখানেই ১৬ দিন ভর্তি ছিলেন তিথি। বুধবার রাতে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজেই মৃত্যু হয় তাঁর।
এই ঘটনায় স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে মৃত ছাত্রীর পরিবার। তাঁদের প্রশ্ন, সরকারি কার্ডে যদি ঋণ না পাওয়া যায় তাহলে লোক দেখাতে কার্ড দেওয়া হচ্ছে কেন? কার্ড শুধু তাদেরই দেওয়া হোক যাদের ব্যাঙ্ক ফেরাবে না। তাহলে আমাদের মেয়ের মতো কাউকে আর আশাহত হয়ে ফিরতে হবে না।