দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক: বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই ত্রিপুরায় অপরাধমূলক ঘটনা বেড়েছে। ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর রিপোর্ট সেই কথায় জানাচ্ছে। এই তথ্য যারা সাহস করে থানায় অভিযোগ দায়ের করে শুধু তাঁর উপর ভিত্তি করে করা। কিন্তু বেশিরভাগ সময় সাধারণ মানুষ মামলা দায়ের করাতে সাহস করেন বা মামলা নেওয়া হয় না।
বিজেপি ও আইপিএফটি জোট ক্ষমতায় আসার পর কিডনি পাচারের কাহিনী সামনে আসে। গণপিটুনির মতো ঘটনা ঘটছে। পুলিশের সামনে একজন শিক্ষককে মেরে ফেলার ঘটনা সামনে আসে। ছেলে ধারার আখ্যা দিয়ে তিন মহিলাকে গণপিটুনি দিয়ে বেঁধে ফেলা হয়। কিন্তু কোনো ঘটনারই কোনও বিচার হয়নি। রাজ্যে বেড়েছে খুন। রাহাজানির মতো ঘটনা।
ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর রিপোর্ট জানাচ্ছে, ২০১৭ সালে রাজ্যে ৯৭২ টি মহিলা সংক্রান্ত অপরাধ ঘটেছিল। ২০১৯ সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০৭০ এ। ২০১৭ সালে বিধানসভার ভোটের সময় অপরাধের সংখ্যা ছিল ১৫৮৯ টি। এরপর মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবর আমলে ২০১৮ সালে তা গিয়ে দাঁড়ায় ২৪৫৬ টি। ২০১৯ সালে ২১৪৬ টি অপরাধের ঘটনা ঘটে।
বিরোধী দল সিপিআইএম এর পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, এখনও পর্যন্ত তাঁদের ১৯ জন দলীয় কর্মীকে নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছে। কিন্তু পুলিশ প্রত্যেকটি ঘটনাকে পারিবারিক বিবাদের জেরে আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা করেছে। এবশ্য ২০২০ সালের রিপোর্ট এখনও প্রকাশ পায়নি।