Saturday, April 20, 2024
Latest Newsফিচার নিউজরাজ্য

ইয়াস আসার আগেই সমুদ্রের বাঁধ উপচে দিঘার একাধিক গ্রামে জল ঢুকতে শুরু! ভেঙে চুরমার শঙ্করপুরের রাস্তা

দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক: ঘূর্ণিঝড় ইয়াস এগোচ্ছে উত্তর-উত্তর-পশ্চিম দিকে। ভোররাতের দিকে এর বেগ ছিল ঘন্টায় ৯ কিমি। গত ৬ ঘন্টা ধরে এইভাবেই এগিয়েছে। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী ১২ ঘন্টায় এই ঘূর্ণিঝড় আরও উত্তর-উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে তা অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে।

ইতিমধ্যে দিঘা-মন্দারমনি অঞ্চলে ব্যাপক ঝড় বৃষ্টি শুরু হয়েছে। জোয়ারে উত্তাল দিঘার সমুদ্র। আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার ভরা জোয়ার ছিল বেলা সাড়ে ১১টা থেকে ১২টার মধ্যে। সেই সময় সমুদ্রে ব্যাপক জলোচ্ছ্বাস দেখা দিয়েছে।

এদিন সকাল সাড়ে পাঁচটায় জারি করা আবহাওয়া দফতরের স্পেশাল বুলেটিনে বলা হয়েছে, এদিন ভোর রাত আড়াইটে নাগাদ এর অবস্থান ছিল ১৭.৮ ডিগ্রি উত্তর অক্ষারংশ এবং ৮৮.৯ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমাংশে। যা পারাদীপ থেকে ৩৬০ কিমি দক্ষিণ দক্ষিণ পূর্বে, বালাসোর থেকে ৪৬০ কিমি দক্ষিণ দক্ষিণ পূর্ব, দিঘা থেকে ৪৫০ কিমি দক্ষিণ দক্ষিণ পূর্বে এবং বাংলাদেশের খেপুপাড়া থেকে ৪৮০ কিমি দক্ষিণ দক্ষিণ পশ্চিমে অবস্থান করছিল।

 

ইতিমধ্যেই দিঘার কয়েকটি এলাকায় বাঁধ ছাপিয়ে গ্রামে জল ঢুকতে শুরু করেছে। সমুদ্রে ব্যাপক জলোচ্ছ্বাস চলছে। সকাল সাড়ে ১০টা থেকে রামনগর ১ নম্বর ব্লকের জামড়ার শ্যামপুর কাইমা গ্রামে সমুদ্রের বাঁধ উপচে গ্রামের মধ্যে জল ঢুকতে শুরু করেছে। খবর পেয়ে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীও ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। রয়েছেন প্রশাসনিক আধিকারিকরাও। প্রশাসনের আধিকারিকরা জানিয়েছেন যে, ‘সোমবার রাতেই তাজপুর, জলধা-সহ সমুদ্র তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই সমুদ্রে ব্যাপক জলোচ্ছ্বাস হয়েছে। যার জেরে জামড়া, শ্যামপুর, তাজপুর প্রভৃতি এলাকার সমুদ্র বাঁধের অনেক জায়গায় জল গ্রামে ঢুকছে। শুরু হয়েছে রাস্তা কেটে জল বার করে দেওয়ার কাজ। এলাকার বাসিন্দাদেরও দ্রুত সরানো হয়েছে।”

দিঘা থেকে ৪২০ কিমি দূরে রয়েছে ইয়াস। বুধবার সকালে আছড়ে পড়তে পারে উপকূল এলাকায়। শঙ্করপুর সহ উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে বৃষ্টি হচ্ছে। দিঘার পাশাপাশি শঙ্করপুরে সমুদ্রসৈকতে বাউন্ডারি ওয়াল টপকে গ্রামে ঢুকছে জলোচ্ছ্বাস। কিন্তু কিছু জায়গায় সমুদ্র তীরবর্তী রাস্তা ভেঙে গিয়েছে। আর জল ঢুকতে শুরু হতেই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় খালি করা হচ্ছে গ্রাম। এখনও পর্যন্ত প্রায় ১১০টি পরিবারকে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এমনটাই প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে।

আবহাওয়া দফতরের তরফে পূর্ব মেদিনীপুরের জন্য লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বলা হয়েছে এদিন ঝড়ের সর্বোচ্চ বেগ হতে পারে ঘন্টায় ১১০ কিমি। ২৬ মে সকালের দিকে তা ঘন্টায় ১২০ কিমি থাকলেও, পরবর্তী সময়ে তা বেড়ে ঘন্টায় ১৪৫ কিমি হয়ে যাবে। পাশাপাশি সমুদ্রের ঢেউ হতে পারে ২-৪ মিটার পর্যন্ত। যার জেরে ল্যান্ডফলের আশপাশের সময়ে উপকূল এলাকার নিচু এলাকা প্লাবিত হতে পারে। অন্যদিকে এই একই সময়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনার উপকূলবর্তী এলাকায় ঢেউ হতে ১-২ মিটার পর্যন্ত।

 

Leave a Reply

error: Content is protected !!