দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক: সবকিছুতেই জাল। রামদেবের পতঞ্জলি, ডাবর, বৈদ্যনাথ, জন্ডু, সহ দেশের ১৩টি বড় আয়ুর্বেদিক কোম্পানির মধুতে মেশানো আছে চিনির রস। বুধবার এই দাবি করেছে সেন্টার ফর সায়েন্স অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট বা সিএসই। সিএসই–র খাদ্য গবেষকরা এই ১৩টি বড় কোম্পানি এবং কিছু ছোট কোম্পানির বাজারজাত কাঁচা মধুর গুণমান পরীক্ষা করেছিলেন। মোট ২২টি মধুর নমুনার নুউক্লিয়ার ম্যাগনেটিক রেসোন্যান্স বা এনএমআর পরীক্ষা করা হয়েছিল। পরীক্ষায় ধরা পড়ে, মোট ৭৭ শতাংশ মধুই জাল। তার মধ্যে চিনির রস মেশানো। মাত্র পাঁচটি মধুর নমুনা পরীক্ষায় পাস করেছে।
প্রথমে গুজরাটের এনডিডিবি–র সেন্টার ফর অ্যানালিসিস অ্যান্ড লার্নিং ইন লাইভস্টক অ্যান্ড ফুড বা সিএএলএফ–এ পরীক্ষা করা হয় নমুনাগুলি। সেখানে বড় কোম্পানির মধুগুলি পাস করে যায় এবং কিছু ছোট কোম্পানির মধু ব্যর্থ হয়। তারপর আবার ওই নমুনাগুলিরই এনএমআর পরীক্ষা হয়। জার্মানির বিশেষ গবেষণাগারে হওয়া ১৩টি ব্র্যান্ডের এনএমআর পরীক্ষায় মাত্র তিনটি ছাড়া সব কটি ছোট–বড় ব্র্যান্ডই ব্যর্থ হয়। যে তিনটি ব্র্যান্ড শুদ্ধ মধু যাচাইয়ের পরীক্ষায় বাস করেছে সেগুলি হল— সাফোলা, মার্কফেডসোহ্না এবং নেচার্স নেক্টার। সিএসই–র প্রোগ্রাম ডিরেক্টর অমিত খুরানা বললেন, ‘যে মধু আমরা খাচ্ছি সেটা শুধু জালই নয়, এমনভাবে জাল করা হয়েছে যে তা সহজে ধরাও পড়বে না।’
যদিও বৃহস্পতিবার বিবৃতি দিয়ে ডাবর পাল্টা দাবি করেছে, তাদের সম্পর্কে এধরনের অভিযোগ মিথ্যা। কারণ দেশের মধ্যে ডাবরই একমাত্র কোম্পানি যার নিজস্ব এনএমআর পরীক্ষার পন্থা আছে। ডাবরের বিবৃতিতে উল্লেখ করা এনএমআর পরীক্ষাও করা হয়েছে জার্মানির ব্রুকার বায়োস্পিন জিএমবিএইচ–এ, গত ১৬ জুলাই। সেখানেই উল্লেখ করা হয়েছে ডাবর এনএমআর পরীক্ষা পাস করেছে।