নয়াদিল্লি, ০৪ সেপ্টেম্বর: ভবিষ্যতে আফগানিস্তানের নয়া শাসকদের সঙ্গে ‘সীমিত সম্পর্ক’ বজায় রাখা হবে। পাশাপাশি তালিবানের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখার ক্ষেত্রে ‘ধীরে চলো’ নীতি নেবে মোদী সরকার। শনিবার এই ইঙ্গিত দিয়েছেন বিদেশ সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা।
কাতারের রাজধানী দোহায় ভারতীয় দূতাবাসে মঙ্গলবার তালিবান নেতা শের মহম্মদ আব্বাস স্তানিকজাইয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন কাতারে নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত দীপক মিত্তল। বিদেশ মন্ত্রক সূত্রের খবর, ওই বৈঠকে আফগানিস্তানে আটকে থাকা ভারতীয়দের পাশাপাশি ভারতে আসতে ইচ্ছুক সে দেশের নাগরিক, বিশেষত সংখ্যালঘুদের নয়াদিল্লিতে আনার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। ভারতের আবেদন বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছে তালিবান।
দোহার ওই বৈঠক ভারতের এত দিনের কাবুল-নীতির থেকে অনেকটাই আলাদা বলে মনে করছে কূটনৈতিক মহলের একাংশ। পূর্বতন মনমোহন সিংহ বা অটলবিহারী বাজপেয়ীর সরকার কখনওই তালিবানের সঙ্গে সরাসরি আলোচনার দরজা খোলেনি।
কিন্তু পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে কার্যত বাধ্য হয়েই নরেন্দ্র মোদী সরকারকে তালিবানের সঙ্গে আলোচনার টেবিলে বসতে হয়েছে বলে ওই অংশের মত। কারণ, আফগানিস্তানের সঙ্গে কাশ্মীরের সমস্যা এবং ভারতের নিরাপত্তা সরাসরি যুক্ত। যদিও মোদী সরকারের এই পদক্ষেপ নিয়ে ইতিমধ্যেই ঘরোয়া রাজনীতিতে বিতর্ক তৈরি হয়েছে।