দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক: নির্বাচনে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী । এমনকি কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাত যেখানে রোজকার ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে এরকম অবস্থা্তেও সৌজন্যের নজির রাখলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । আমের মরশুমে প্রত্যেক বছরই দিল্লির নেতা-নেত্রীদের আম পাঠান মুখ্যমন্ত্রী । এবারও তার ব্যতিক্রম হল না । কিন্তু এই মুহূর্তে তৃণমূল কংগ্রেসের অন্যতম প্রধান বিরোধী শক্তি হওয়া পরেও নরেন্দ্র মোদি এবং অমিত শাহকে আম পাঠাতে ভুললেন না মমতা ।
মোদি মমতার বছরভর সংঘাতের পরও এই ঘটনা নজিরবিহীন বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল । রাজনৈতিক দ্বৈরথকে সরিয়ে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হয়ে উঠলেন অনন্য । এমনিতেই গোটা দেশের কাছে বাংলার পরিচয় রয়েছে শিক্ষা সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যের ক্ষেত্র হিসেবে । বরাবরই বাংলার পরিচয় তার সৌজন্যবোধে । সেই পরিচয়ে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী নিজেকে এই ঘটনার মধ্যে দিয়ে অন্য উচ্চতায় নিয়ে গেলেন ।
প্রতিবারের মতোই এবছরও বাংলার সেরা আম যার সুনাম বিশ্বজোড়া — সেই ফজলি, লক্ষ্মণভোগ ডালিতে সাজিয়ে দিল্লির নেতাদের পাঠিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ, উপরাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নাইডু, লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল এবং কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধি সকলের কাছেই পৌঁছেছে মমতার এই প্রীতি উপহার ।
এই প্রথমবার নয়, প্রত্যেক বছরই মমতার তরফে বাংলার বাছাই করা দারুণ আমের উপহার প্রধানমন্ত্রী সহ দিল্লির একাধিক নেতা-নেত্রীদের কাছে পৌঁছায় । তবে গত বছর করোনা মহামারির বাড়াবাড়িতে বন্ধ ছিল আম পাঠানো । কোভিড পরিস্থিতির জন্যে এই আম পাঠানো সম্ভব হয়নি । এবার সমস্ত সতর্কতা অবলম্বন করে রসালো, সুস্বাদু আম গিয়েছে প্রধানমন্ত্রী সহ অন্য বিশিষ্টজনদের বাড়িতে বা অফিসে । আর এই ঘটনা রাজনৈতিক মহলে যথেষ্ট প্রশংসা কুড়িয়েছে ।
কখনও বাংলার ধুতি-পাঞ্জাবি, কখনও আবার বাংলার সেরা মিষ্টিও উপহার স্বরূপ প্রধানমন্ত্রীকে পাঠিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী । শত রাজনৈতিক বৈরিতা থাকলেও সৌজন্যতে চিড় ধরতে দেননি মমতা । এবারও একই ঘটনা ঘটায় বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর পরিচিতরা বলছেন, মমতা আছেন মমতায় ।