নিজস্ব সংবাদদাতা, দৈনিক সমাচার, উলুবেড়িয়া : হাওড়া জেলায় বর্তমানে উচ্চশিক্ষার জন্য উপযুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অভাব বিশেষ ভাবে মাথা চাড়া দিয়েছে, এমনই দাবি করে উষ্মা প্রকাশ করল স্টুডেন্টস ইসলামিক অর্গানাইজেশন অফ ইন্ডিয়া (এসআইও) হাওড়া জেলা শাখা। শনিবার বিকেলে উলুবেড়িয়া প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলনে করে সংগঠনটি। এদিন স্টুডেন্টস ইসলামিক অর্গানাইজেশন অফ ইন্ডিয়া, হাওড়া জেলা শাখা শিক্ষার পুনর্মূল্যায়ন, সমুন্নত শিক্ষাঙ্গন ও বেকারত্ব দূরীকরণের আওয়াজ তোলে।
এসআইও’র দাবি, হাওড়া গ্রামীণ জেলায় একটি গার্লস কলেজ প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি স্কুলছুট নিয়ন্ত্রণে বিশেষ পদক্ষেপ নিক সরকার। সংগঠনের জেলা সভাপতি জিয়াউল হুদা বলেন, “গ্রামীন অঞ্চলের অধিকাংশ মহিলা শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষা লাভের ক্ষেত্রে বিশেষ বাধা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। প্রত্যন্ত অঞ্চলের শিক্ষার্থীদের দূরবর্তী গার্লস কলেজে গিয়ে শিক্ষা লাভ করা অসম্ভব বিষয়। তাই আমরা সরকারের কাছে হাওড়া গ্রামীণ জেলায় অবিলম্বে একটি গার্লস কলেজ প্রতিষ্ঠার দাবি জানাচ্ছি। পাশাপাশি প্রত্যন্ত অঞ্চলের শিক্ষার্থীদের আইন নিয়ে পড়াশোনা চালানোর জন্য হাওড়া গ্রামীনে একটি ল’ কলেজ প্রতিষ্ঠা করারও দাবি জানাচ্ছি আমরা।”
এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে সংগঠনের রাজ্য সভাপতি সাবির আহমেদ বেসরকারি কর্মক্ষেত্রে ছাত্র-ছাত্রীদের কাজের সময়সীমা নিয়ে সরব হন। তিনি বলেন, “বেসরকারি কর্মক্ষেত্রে ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য কাজের সময়সীমা ৬ ঘন্টা করতে হবে, যাতে অর্থনৈতিক সমস্যা দূর করার পাশাপাশি ছাত্ররা পড়াশুনা চালিয়ে যেতে পারে।” এদিন জিয়াউল হুদা জানান, শিক্ষা আন্দোলনে জেলার ৭ দফা দাবিদাওয়া পূরণে আগামী ১৭ ই আগস্ট SDO Office March – এর ডাক দিয়েছে সংগঠন। ওইদিন দুপুর ২টায় উলুবেড়িয়া স্টেশন চত্বরে জমায়েত করে SDO অফিসের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেবে মিছিল।
শিক্ষা আন্দোলনে এসআইও দাবী করেছে, গ্রামীণ হাওড়া জেলায় গার্লস কলেজ প্রতিষ্ঠা করতে হবে। গ্রামীণ হাওড়া জেলায় সরকারি আইন কলেজ প্রতিষ্ঠা করতে হবে। গ্রামীণ হাওড়া জেলায় সরকারি আইন কলেজ প্রতিষ্ঠা করে ৩ বছরের কোর্স চালু করতে হবে। স্কুলছুট নিয়ন্ত্রণে বিশেষ পদক্ষেপ নিতে হবে। বেসরকারি কর্মক্ষেত্রে ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য কাজের সময়সীমা ৬ ঘন্টা করতে হবে, যাতে অর্থনৈতিক সমস্যা দূর করার পাশাপাশি ছাত্ররা পড়াশুনা চালিয়ে যেতে পারে। হাওড়া জেলায় বন্ধ হয়ে যাওয়া ২৫টি স্কুলে নতুন পরিকাঠামো তৈরি করে পড়াশুনা শুরু করতে হবে। লকডাউনের পর স্কুলছুটের সংখ্যার রিপোর্ট পেশ করতে হবে।
এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন এসআইও’র রাজ্য সভাপতি সাবির আহমেদ, জেলা সভাপতি জিয়াউল হুদা, জামাআতে ইসলামী হিন্দ হাওড়া জেলার সম্পাদক জুলফিকার আলী মোল্লা, এসআইও হাওড়া জেলার সম্পাদক সেখ আমিরুল, শিক্ষাঙ্গন সম্পাদক আসলাম বিন আকরাম, জনসংযোগ সম্পাদক ইমামউদ্দিন আঁচড়া, সাংস্কৃতিক সম্পাদক, মুজাহিদুল ইসলাম প্রমুখ।