দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক : গো-রক্ষকরা বারবার মনে করিয়ে দিচ্ছে যে, আমাদের কাছে মানুষের চেয়ে গরুর মূল্য বেশি। বিজেপির আমলে এই ঘটনা বেড়েছে। কখনও জয় শ্রীরাম না বললে গণপিটুনি, কখনও গরুর মাংস নিয়ে যাচ্ছে এই সন্দেহের বসে গণপিটুনি। এ যেন নিত্যদিনের ঘটনা। পুলিশ নীরব দর্শক।
এবার স্বঘোষিত গো-রক্ষকদের তাণ্ডব দেখা গেল জম্মুতে। মুহাম্মদ আসগর নামে এক মেষপালককে ২০ জন মিলে পেটাল। গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছে। ৪৮ বছরের মহম্মদ আসগর গুজ্জর সম্প্রদায়ভুক্ত এবং রিয়াসি জেলার গারি গব্বর গ্ৰামের বাসিন্দা। কয়েক দিন আগের ঘটনা, আসগরের চাষের জমিতে একপাল গরু ঢুকে ফসল নষ্ট করেছিল। গরু তাড়াতে ছুটে আসে আসগরের বছর ১৬ ছেলে। দেখেই তাদের ওপর চড়াও হয় উত্তেজিত জনতা।
তাদের অভিযোগ, গরুগুলোকে মেরে তাড়ানো হয়েছে। একটি গরু চোট পেয়েছে। এ নিয়ে সালিশি সভা ডাকেন গ্ৰাম প্রধান। তলব করা হয় আসগরকে। এক প্রত্যক্ষদর্শীর কথায়, তুতো ভাই জাভেদকে নিয়ে আসগর আলোচনাসভায় হাজির হলে তুলকালাম শুরু হয়। স্বঘোষিত গো-রক্ষকরা তাদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। চলতে থাকে কিল, চড়, ঘুসি, মাটিতে ফেলে মারধর। ঘটনার ভিডিয়ো ঘুরছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। ঘটনাস্থলে পুলিশও ছিল। কিন্তু মারধরের চোটে আসগরের জামা ছিঁড়ে না যাওয়া পর্যন্ত এগোয়নি। আসগর গোঙাতে শুরু করলে উন্মুক্তদের আটকাতে এগোয় পুলিশ।
আসগরের ভাই মুস্তাক আহমেদের অভিযোগ, ‛৬০ জনের বেশি লোকজন মিলে মারধর করেছে। অনেকের হাতে লাঠি ছিল। আসগরের অবস্থা সঙ্কটজনক। পুলিশের বক্তব্য একাধিক এফআইআর হয়েছে। গরুকে আঘাত করায় আসগরের ছেলে বিরুদ্ধে এফআইআর হয়েছে পশু নির্যাতন আইনের আওতায়। অন্যটি আসগরকে যারা মারধর করেছে তাদের বিরুদ্ধে। গুজ্জর সম্প্রদায়ের লোককে মারধর করায় সরব স্থানীয় সমাজকর্মীরা।’