নিজস্ব সংবাদদাতা, দৈনিক সমাচার, তমলুক : শিক্ষাসংক্রান্ত একাধিক দাবি নিয়ে তমলুকের উত্তর সোনামুইতে সাংবাদিক সম্মেলন করল ছাত্র সংগঠন স্টুডেন্টস ইসলামিক অর্গানাইজেশন অফ ইন্ডিয়া (এসআইও) পূর্ব মেদিনীপুর জেলা শাখা। সাংবাদিক সম্মেলনে সংগঠনের জেলা সভাপতি আজম হোসেন বলেন, “আমাদের জেলা শিক্ষা, বেকারত্বসহ একাধিক সমস্যায় জর্জরিত। জেলার গ্রামীণ এলাকায় স্কুলছুট পড়ুয়াদের সংখ্যা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে।” তিনি সরকারের কাছে স্কুলছুটদের জন্য বিশেষ স্কিম ঘোষণার দাবি জানান। তিনি আরও বলেন, “জেলায় গার্লস কলেজের ঘাটতি রয়েছে। প্রতিটি সংসদীয় এলাকায় একটি মেডিক্যাল কলেজ প্রতিষ্ঠা করতে হবে।”
উল্লেখ্য যে, এসআইও চলমান শিক্ষা আন্দোলনের অংশ হিসেবে জেলার ৮ দফা দাবি নিয়ে আগামী ১৭ই আগস্ট মহামিছিল ও জেলা শাসককে ডেপুটেশন প্রদানের কর্মসূচি পালন করবে। এদিন জেলার শিক্ষাঙ্গন সম্পাদক পারভেজ আলাম খাঁন বলেন, “জেলার একমাত্র মহাত্মা গান্ধী বিশ্ববিদ্যালয়ের পঠন-পাঠন, পরিকাঠামোগত গঠন মানোন্নয়ন করতে হবে।” এছাড়াও তিনি জেলার কলেজগুলোর কাছে ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য পৃথক হোস্টেল তৈরির দাবি জানান। সাংবাদিক সম্মেলন থেকে রাজ্যের জনসংযোগ সম্পাদক ইমরান হোসেন বলেন, “একদিকে স্কুলগুলো যোগ্য শিক্ষকের অভাবে ভুগছে, অন্যদিকে কলকাতার রাজপথে চাকরি প্রার্থীরা নিয়োগের দাবিতে অনশন করতে বাধ্য হচ্ছে।” তিনি আরও বলেন, “উৎসশ্রী প্রকল্পের মাধ্যমে শিক্ষক বদলির জন্য গ্রামের স্কুলগুলোতে ব্যাপক শূন্যপদ তৈরি হয়েছে। তিনি শিক্ষাঙ্গনে বৈষম্য বন্ধের দাবি জানিয়ে বলেন, “শিক্ষাঙ্গনে ধর্মীয় বৈষম্য প্রকট হয়ে উঠেছে। হিজাব পরার জন্য নার্সিং পড়ুয়ারা মানসিক নির্যাতনের স্বীকার হচ্ছে।” তিনি আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক পরিকাঠামোর ভগ্নপ্রায় দশার জন্য সংখ্যালঘু দপ্তরের সমালোচনা করেন।
সংগঠনের দাবি – মহাত্মা গান্ধী বিশ্ববিদ্যালয়ের মানোনয়ন করতে হবে। স্কুলছুটদের ফেরাতে বিশেষ স্কিম ঘোষণা করতে হবে। জেলার সমস্ত বিধানসভায় গার্লস্ কলেজ প্রতিষ্ঠা করতে হবে। জেলায় আইন কলেজ প্রতিষ্ঠা করতে হবে। জেলার প্রতিটি সংসদীয় এলাকায় একটি করে মেডিক্যাল কলেজ প্রতিষ্ঠা করতে হবে। জেলার কলেজকেন্দ্রিক এলাকা গুলোতে ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য পৃথক হোস্টেল তৈরি করতে হবে। সমস্ত প্রকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোর ফি হ্রাস করতে হবে। জেলায় পর্যাপ্ত বি.এড ও ডি.এল.এড কলেজ গড়ে তুলতে হবে।